1. fakiraual842@gmail.com : নব দিগন্ত ২৪ : নব দিগন্ত ২৪
  2. rmriyad150@gmail.com : fokir :
  3. nobodigonto24.khag.dist.repse@gmail.com : Md. Mobinul Islam : Md. Mobinul Islam
আজ রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত। - নব দিগন্ত ২৪
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যশোর শার্শা উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বগুড়া সান্তাহারে নাশকতা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রকি গ্রেপ্তার ‎দুমকীতে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে জেরে ছুরির আঘাত! আহত যুবক বরিশালে রেফার সাকিব হোসেন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো বকুলের পাশে ইউএনও, হুইলচেয়ার উপহার ও সরকারি সহায়তার আশ্বাস ‎দুমকীতে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে জেরে ছুরির আঘাত! আহত যুবক বরিশালে রেফার সাকিব হোসেন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সিএমপি’র চান্দগাঁও থানার অভিযানে ০১টি লোহার চাপাতি সহ ছিনতাইকারী চক্রের ০২(দুই) সদস্য গ্রেফতার “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫” উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন, সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ বগুড়া আদমদীঘিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের ভূমিকা নিয়ে বেডো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সভা সেনাপ্রধানের এর সাথে মান্যবর সৌদি রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা‌ গ্রেফতার

আজ রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত।

জি এম স্বপ্না
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

জি,এম স্বপ্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
আজ সোমবার ঐতিহাসিক রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস।১৯২২ সালের

২৭ জানুয়ারি তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে

সলঙ্গার হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাড়ে চার হাজার সাধারণ

মানুষ শহীদ হন।ব্রিটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা

উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু

করেছিলেন। এমনি একটি আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন

পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জে) সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে সপ্তাহে

দু’দিন হাট বসত।১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশিদ

তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামেন বিলেতি

পণ্য কেনাবেচা বন্ধ করতে। আর এই স্বদেশি আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসেন

পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর এন দাস, জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা

প্রশাসক এস কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র পুলিশ।সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশি কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস

ঘেরাও পূর্বক গ্রেফতার করে মাওলানা আবদুর রশিদকে।সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে

বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।বিদ্রোহে ফেটে পড়ে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও

আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ

দেন।শুরু হয় বুলেট-বৃষ্টি। ৪০টি রাইফেলের মধ্যে মাত্র একটি থেকে কোনো গুলি

বের হয়নি।এ রাইফেলটি ছিল একজন ব্রাহ্মণ পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সরকারি

সংখ্যা সাড়ে চার হাজার দেখানো হলেও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মতে এর সংখ্যা ১০

হাজারের অধিক।মাওলানা আবদুর রশিদ সলঙ্গা বিদ্রোহের মাধ্যমে উপনিবেশিক শাসনের ভিত নড়িয়ে

দিয়েছিলেন।সলঙ্গার রক্তসিক্ত বিদ্রোহ শুধু বাংলার মাটিকে সিক্ত করেনি,সিক্ত

করেছে সমগ্র উপমহাদেশ।যে রক্তে ভেজা পিচ্ছিল পথে অহিংস, অসহযোগ আন্দোলনে যা

কিছু অর্জিত হয়েছে, তা সলঙ্গা বিদ্রোহেরই ফসল।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ পাঠাগার, বেগম নূরুন্নাহার

তর্কবাগীশ ডিগ্রি কলেজ,সলঙ্গা সমাজকল্যাণ সমিতি, তর্কবাগীশ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা,

তর্কবাগীশ উচ্চ বিদ্যালয়,মাওলানা তর্কবাগীশ গবেষণা কেন্দ্র ও সলঙ্গা ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ৩ দিন ব্যাপী

নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© নব দিগন্ত ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট