1. fakiraual842@gmail.com : নব দিগন্ত ২৪ : নব দিগন্ত ২৪
  2. rmriyad150@gmail.com : fokir :
  3. nobodigonto24.khag.dist.repse@gmail.com : Md. Mobinul Islam : Md. Mobinul Islam
ইউনূস সরকারের অধীনে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ৩১ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু - নব দিগন্ত ২৪
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইউনূস সরকারের অধীনে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ৩১ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের অন্তর্গত মিরপুর থানার ১২ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগনের ২০২৫ সালের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাগেরহাট জেলায় বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা-২০২৫ এর মাঠ ক্যাম্পেইন প্রদর্শন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দর্শনা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ (চার) কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আটক-১ চট্টগ্রাম সিএমপি’র ডিবি উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের টিম নং-২ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ২ রাউন্ড গুলি সহ ১জন আসামী আটক ঢাকা জেলা’র ডিবি (দক্ষিণ) কর্তৃক আন্ত:জেলা গাড়ী চোরদলের ৫ জন আসামী গ্রেফতারসহ ৪টি চোরাইকৃত ট্রাক উদ্ধার রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানাধীন বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৬ জনকে আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ মাগুরা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা-২০২৫ এর প্যারেড, চাকরির খতিয়ান বিশ্লেষণ ও সাক্ষাৎকার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আন্তঃবাহিনী এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

ইউনূস সরকারের অধীনে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ৩১ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু

সদস্য, নবদিগন্ত 24
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি :
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের ধারাবাহিক মৃত্যুর এক চাঞ্চল্যকর তালিকা সামনে এসেছে। এই তালিকা অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তিদের মৃত্যু কারাগারের অভ্যন্তরে ঘটেছে, যা দেশব্যাপী ব্যাপক উদ্বেগ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রতিটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন এবং ক্ষেত্রবিশেষে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তালিকা অনুযায়ী, এই ঘটনাক্রমের শিকার হয়েছেন:

গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ কর্মী এলাহী শিকদার, যার মৃত্যুকে সরাসরি ‘নির্যাতন’ জনিত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এবং কর্মী সোহরাব হোসেন অ্যাপল—দুজনেরই মৃত্যুর কারণ হিসেবে নির্যাতনকে দায়ী করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আলিমুজ্জামান চৌধুরী, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম রতন, বগুড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ এবং বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনু—এই চারজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্ট্রোক বা হৃদরোগ বলা হলেও তাদের পরিবার নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবলীগ কর্মী হযরত আলী এবং নওগাঁর আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক হোসেন মোল্লা নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বগুড়ার আওয়ামী লীগ কর্মী ও একাধিকবারের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু’র মৃত্যু হৃদরোগে হলেও পরিবার নির্যাতনের অভিযোগ করেছে।

সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান আঙ্গুর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় এবং মানিকগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নিত্য সরকার অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গাজীপুর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম, নীলফামারীর আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুর ইসলাম, খুলনার আওয়ামী লীগ নেতা আখতার শিকদার এবং ঢাকার সাভারের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক এর মৃত্যুও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে নির্যাতন ও অসুস্থতার অভিযোগ রয়েছে।

টাঙ্গাইলের ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম শিপু’র মৃত্যুর কারণ হিসেবে নির্যাতনকে দায়ী করা হয়েছে।

বগুড়ার আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক ভুট্টো, কিশোরগঞ্জের সুজিত চন্দ্র দে, সুনামগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রইজুল, চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ফারজাদ হোসেন সাকিব, কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমাম হোসেন বাচ্চু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা মো. আজগর আলী, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, মানিকগঞ্জের বাবুল হোসেন এবং মুন্সীগঞ্জের সারওয়ার হোসেন নান্নু’র মৃত্যু কারাগারে ঘটে এবং এগুলোর কোনোটিকে ‘সন্দেহজনক’ বা ‘চিকিৎসায় অবহেলা’ জনিত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আলী মিয়া, ঢাকার সাভারের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরীফ আহমেদ এবং গাইবান্ধার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না’র কারাগারে মৃত্যুর পেছনেও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, যা নিয়েও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এই তালিকার সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি আনা হয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন জনি’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। তার মৃত্যুকে সুস্পষ্টভাবে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

প্রকাশিত এই তালিকাটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আইনের শাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ধারাবাহিক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অপরিহার্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© নব দিগন্ত ২৪ Nobo Digonto 24 🖊️
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট