(থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ)
জিল্লুর রহমান ষ্টাফ রিপোর্টার (কয়রা)খুলনাঃ
কয়রা উপজেলার এক গৃহবধূ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী রাসেল আহমেদ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্বামী রাসেল আহমেদের লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ বছর আগে মোকলেছুর রহমান লিটনের মেয়ে মিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন সংসার করার পর কর্মসূত্রে বাইরে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মিম সংসারের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন এবং তাকে (রাসেল) স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি তার সঙ্গে সংসার করতে চান না। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও মিম তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
রাসেলের দাবি, একপর্যায়ে এলাকার লোকজন মিমকে তার পরকীয়া প্রেমিক রাকিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছায়। পরে বিষয়টি শ্বশুর মোকলেছুর রহমান লিটনকে জানানো হয়।
স্বামীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৫ মার্চ ভোররাতে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে মিম নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিক রাকিবের সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও মিমের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, ৭ মার্চ মেয়ের বাবা মোকলেছুর রহমান লিটন কয়রা থানায় জামাই রাসেল আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মেয়ের পরকীয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, মেয়ের সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই এবং বিষয়টি তার ছোট ভাই বিএনপির যুবদল নেতা ইউনুস আলী ভালোভাবে জানেন।
নব দিগন্ত 24.কম অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের অন্যায় আবদার পূরণ না হওয়ায় ওসি ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ করে তাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, “উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে মেয়ের বাবাকে অপমান করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়ের চাচা যুবদল নেতা ইউনুস আলী একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”