1. fakiraual842@gmail.com : নব দিগন্ত ২৪ : নব দিগন্ত ২৪
  2. rmriyad150@gmail.com : fokir :
  3. nobodigonto24.khag.dist.repse@gmail.com : Md. Mobinul Islam : Md. Mobinul Islam
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের ৪ ট্রাক পন্য ফেরত পাঠাল ভারত - নব দিগন্ত ২৪
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জুলাই আগস্ট আন্দোলনে মিরপুরের আওয়ামী লীগের অর্থদাতা ভূমিদস্যু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ডিপজলের গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্র জনতার মানববন্ধন রাজনৈতিক বিরোধে যুবককে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি প্রভাবশালীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভু’য়া র‍্যা’বকে ধা’ও’য়া দিল আসল র‍্যা’ব। (পথে দুই পক্ষকেই পে’টা’ল জনতা। আসল ন’ক’ল চেনা অনেক কঠিন হয়ে গেছে সত্যিই ) ভু’য়া র‍্যা’বকে ধা’ও’য়া দিল আসল র‍্যা’ব। (পথে দুই পক্ষকেই পে’টা’ল জনতা। আসল ন’ক’ল চেনা অনেক কঠিন হয়ে গেছে সত্যিই ) বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি তাকে ভালো শিক্ষা দিতে, সে ছিল পরিবারের গর্ব। সরকার কোথাও কোথাও শহীদ পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে শুনি, কিন্তু আমরা শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি। আমাদের প্রতি রাষ্ট্রের যে সহানুভূতি থাকার কথা, তা এখনো পাইনি। খুলনায় “পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক নেতা শাহাদাত কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যশোর বিশেষ অভিযানে পালবাড়ী রয়েল মোড়ে ইনস্টিটিউট অব নার্সিং সাইন্স এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক-১ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে যশোর বেনাপোল পৌর বিএনপি’র সাড়াজাগানো বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত খুলনা রেঞ্জ পুলিশের আয়োজনে জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‎ সলঙ্গায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের ৪ ট্রাক পন্য ফেরত পাঠাল ভারত

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

মনা যশোর প্রতিনিধিঃ
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের গেট থেকে চারটি পণ্য বোঝাই বাংলাদেশি ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠায় ভারত। পরে রপ্তানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক চারটি ঢাকায় ফেরত যায়।

ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তি করেছিল ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সেই চুক্তি বাতিল করেছে। ২০২০ সালের ২৯ জুনের পর বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ ছিল। হঠাৎ করে বুধবার ভারত বলেছে, যেসব পণ্যবোঝাই ট্রাক ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলোকে দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে হবে। আর এ আদেশের আগে যেসব পণ্য এন্ট্রি হয়ে আছে, তাদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা বন্ধের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এ চিঠির আলোকে ট্রানজিট সুবিধার পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারত সরকার ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করেছে। সে কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চারটি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের জন্য গেলে তা ফেরত পাঠায়। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঢাকার রপ্তানিকারক ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের ছিল।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের কোনো পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। ফলে বুধবার তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানির জন্য আনা চার ট্রাক পণ্য তারা রিসিভ করেনি।

এদিকে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বাড়ানোর পর ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এ খবর রপ্তানিকারকদের আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ফলে ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভুটান, নেপাল, মিয়ানমারসহ তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। দেশটির বিমানবন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টও বন্ধ হয়ে গেল।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, ভারতের এ সিদ্ধান্তে তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এর ফলে ভারত-ভুটানসহ কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো। ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের ভূমি ও অবকাঠামো ব্যবহার করে কম খরচে ও কম সময়ে এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুবিধা পেয়ে আসছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার ফলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া পরিবহন (ট্রাক/কাভার্ডভ্যান) খাতেও ছিল একটি বড় আয়ের উৎস। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রপ্তানির পণ্য বোঝাই শত শত গাড়িগুলো আসতো বেনাপোল বন্দরে। সেখান থেকে পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য আনলোড করে চলে আসতো। এতে তারা নির্দিষ্ট একটি ভাড়া পেত। সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

অন্যদিকে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় আর্থিক ক্ষতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে মহাসংকটে রয়েছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ফলে কেবল পেট্রাপোল স্থলবন্দরেই ৪০ শতাংশ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা কন্টেইনারগুলোতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য পণ্য থাকতো। এসব পণ্য ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে যেত। পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকে প্রথমে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আসতো। এরপর সেগুলো কাস্টমস সিল হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে দিল্লি যেত। জাহাজেও যেত কিছু পণ্য। সেখান থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি হতো।

তিনি জানান, পেট্রাপোলে প্রতিদিন যদি ২০০ গাড়ি আসতো, তার ৪০ শতাংশ থাকতো এই ধরনের পণ্যের অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্টের গাড়ি। পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকে আসতো, তা আমাদের না এবং আমাদের দেশে বিক্রিও হয় না। সেগুলো বিক্রি হয় বিদেশে। তারা আমাদের বন্দরটি ব্যবহার করতো মাত্র। কিন্তু যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা ৪০ শতাংশ কাজ হারালো। ট্রান্সশিপমেন্টে যেসব ট্রাক বা ট্রেলার যুক্ত ছিল, তারা কাজ হারালো। লজিস্টিক কোম্পানিগুলো যারা বন্দর পর্যন্ত এই পণ্যগুলো পৌঁছে দিত, তারাও কাজ হারালো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© নব দিগন্ত ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট