
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
হাসিনুজ্জামান মিন্টু,, 
সদর উপজেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ওষুধ ব্যবস্থাপনায় চলছে চরম অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত লেনদেন। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ সামান্য কিছু টাকা দিলেই মিলছে আর বিনা পয়সায় ওষুধ পাওয়া যেন প্রায় অসম্ভব।
ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ফার্মেসিতে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন জমা দিলেও কর্মচারীরা নানা অজুহাতে সরকারি ওষুধ দেন না। অথচ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গোপনে দিলে মুহূর্তেই মজুত থাকা ওষুধ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনেক সময় রোগীরা ওষুধ না পেয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে উচ্চমূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
রোগীদের মধ্যে একাধিক জন জানান, “সরকারি হাসপাতালে আসার মূল কারণই হলো বিনা খরচে চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়া। কিন্তু এখানে এসে দেখা যায়, টাকা ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। গরিব মানুষই সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের ভেতরে ওষুধের মজুত থাকা সত্ত্বেও টাকার বিনিময়ে ওষুধ সংস্কৃতি চালু রয়েছে বহুদিন ধরে। ফলে সরকারি সেবার মান ভেঙে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের আস্থায় চিড় ধরেছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, “হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক সবকিছু জানেন। নিয়মিত খোঁজখবর নেন।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী বলেন, “উপরে থেকে নিচ পর্যন্ত সবাই জানে কীভাবে ওষুধ বিতরণ হয়। দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে চলছে।”
এ নিয়ে সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি হাসপাতালের এ ধরনের অনিয়ম স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা ধ্বংস করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা সরকারি চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি ও স্বচ্ছ ওষুধ বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে সর্বস্তর ।