মোঃমামুন নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাসহ ৯ মাস বয়সি তার পুত্র সন্তান আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সন্তানকে পরিচর্যা করানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আহত শিক্ষিকার নাম রেহানা পারভীন (৩২) ও সাদাত হোসেন (৯ মাস) সে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তাকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেলে সাদাত হোসেন সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। ইতিপূর্বেও এ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পলেস্তার পড়ে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে টিন সেট ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়ের টিন সেটের চালের টিন সরিয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে দিনে দিনে ভবনের বিভিন্ন অংশের পলেস্তার খসে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মিত হয়নি।
প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন নব দিগন্তকে বলেন, আজ সকাল দশটার দিকে ওই শিক্ষিকা অফিস কক্ষে তার সন্তানকে পরিচর্যা করছিলেন। জানালা বন্ধ করার জন্য অফিস কক্ষে চেয়ার থেকে উঠে জানালা বন্ধ করতে যান। এ সময় হঠাৎ ছাদের পলেস্তার ধসে আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা রেহানা পারভীনের মাথায় পড়ে। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার নয় মাস বয়সী ছেলের গায়েও পড়েছে। এর আগেও আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী পলেস্তার খসে পড়ে আহত হয়। বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি নব দিগন্তকে বলেন, শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ঝুঁকিপূর্ণ দুইটি কক্ষে অফিস ও পাঠদান না করার জন্য বলে এসেছি।