1. fakiraual842@gmail.com : নব দিগন্ত ২৪ : নব দিগন্ত ২৪
  2. rmriyad150@gmail.com : fokir :
  3. nobodigonto24.khag.dist.repse@gmail.com : Md. Mobinul Islam : Md. Mobinul Islam
ডিমলায় তিস্তার করালগ্রাসে নিঃস্ব হাজারো পরিবার। - নব দিগন্ত ২৪
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বছরের সেরা ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল বিএনপির পার্টি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার-১ । ডিএমপিতে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক ট্রেনিং অব ট্রেনার্স (ToT) কোর্সের উদ্ধোধন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৫ নেতাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ ঢাকা বগুড়ায় র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ দম্পতি গ্রেফতার বগুড়ায় খাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রেনেড উদ্ধার । সলঙ্গায় রোপা আমনের চারা বিক্রির ধুম ঢাকা জেলার দোহার থানা কর্তৃক দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার রমজান ওরফে কালা এবং লালন গ্রেফতার। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় শুভ জন্মাষ্টমী ২০২৫ সম্পন্ন। দেশের সর্ব বৃহত্তম আশ্রম বেনাপোল ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী ব্রম্ম হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্ট্রমী উদযাপণ

ডিমলায় তিস্তার করালগ্রাসে নিঃস্ব হাজারো পরিবার।

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃমামুন (ডিমলা)নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা খালিশা চাপানি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। নদীর ভয়াবহ স্রোত একের পর এক গ্রাস করে নিচ্ছে বসতবাড়ি, গবাদিপশু খামার, কৃষিজমি, সবুজ বাগান আর জীবনের শেষ সঞ্চয়। অথচ এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহিম রানা বলেন,”আমার এনজিও থেকে লোন নিয়ে গরুর খামার করেছিলাম। খামারটা এখন নদীর পেটে চলে গেছে। আমার ভিটেটাও আর নেই। কী করবো এখন?”তার স্ত্রী শারমিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান,
“তিনবার ঘর বানিয়েছি, তিস্তা তিনবারই কেড়ে নিয়েছে। এবার যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমার মতো হাজারো মানুষ পথে নামবে। আমরা আর পারছি না, বাঁচতে চাই।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।”আমরা ত্রাণ চাই না। আমরা চাই নবীর শাসনের মতো ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা। চাই টেকসই বাঁধ, নদীশাসন। যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর নদীর তাণ্ডবে সব হারাতে না হয়।”
এলাকার প্রবীণ কৃষক মজিবর রহমান বলেন,কোনো এক সময় আমরা ছিলাম কোটিপতি। জমি ছিল, গরু ছিল, বাড়ি ছিল। আজ আমরা রাস্তায়, শুধু তিস্তার ভাঙনের কারণে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই ক্ষতি আর কখনো পূরণ হবে না।এলাকাবাসীর দাবি—
ডালিয়া ব্যারাজ ও তিস্তা নদীর পাড়ে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।তিস্তা নদী শাসনের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন ও ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা করতে হবেভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনী বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ দরকার
বিগত কয়েক বছরের ভাঙনের চিত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিবার বর্ষা মৌসুম এলেই এ এলাকাটি নদীগর্ভে বিলীন হতে থাকে। অথচ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের আশ্বাস, সবই থেকে যাচ্ছে কাগজে-কলমে।স্থানীয়রা বলেন,আমাদেরকে ত্রাণ দিয়ে শান্ত করতে চাইলে চলবে না, আমাদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর জন্য এখনই কাজ করতে হবে। তিস্তার ভাঙনে যদি কোনো শিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়, তার দায় কেম নেবে?তিস্তার ভাঙনে যখন শত শত পরিবার পথে বসছে, তখন আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। স্থানীয় জনগণ এখন আর সাহায্য নয়, টেকসই সমাধান চায়। মানবিকতা, উন্নয়ন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে এখনই পদক্ষেপ জরুরি।

এবিষয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করতে বলেন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© নব দিগন্ত ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট