মোঃ মামুন ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি:
জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি পরিকল্পনায় সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে ডিমলায় ধানের নমুনা শস্য কর্তন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সদর ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আমিরুল ইসলামের জমিতে কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না এবং উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম।
ধানের নমুনা শস্য কর্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মাঠ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান কেটে ওজন করা হয় এবং প্রকৃত ফলন নির্ধারণ করা হয়। মোঃ আমিরুল ইসলামের ক্ষেতের ফলন ৫.২৮ মেট্রিক টন/হেক্টর (বিনা ধান-১৭ জাত) হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের গড় ফলন নির্ধারণ করা হয়, যা কৃষি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, “ধানের নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত ফলনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি কৃষি পরিসংখ্যানকে আরও নির্ভরযোগ্য ও বৈজ্ঞানিক করে তোলে।”
উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি মৌসুমে আমরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শস্য কর্তন কার্যক্রম পরিচালনা করি। এই তথ্য জাতীয় পরিসংখ্যান প্রণয়নে ব্যবহৃত হয়।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান বলেন, “সরকার তথ্যভিত্তিক কৃষি উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
কৃষক মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমার জমিতে সরকারিভাবে ধান কাটা দেখে আমি খুব খুশি। এতে আমরা নিজেও জানতে পারি আমাদের ফসলের আসল ফলন কত। কৃষি অফিসের এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক সহায়ক।”
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুম শেষে গম, ভুট্টা, পাট, আলুসহ অন্যান্য প্রধান ফসলের ক্ষেতেও একইভাবে নমুনা শস্য কর্তন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে দেশের কৃষি উৎপাদনের প্রকৃত চিত্র নির্ধারণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা হবে।