মোঃমামুন (ডিমলা) নীলফামারী প্রতিনিধি
ডিমলায় ভাঙ্গনের কবলে এলাকাবাসী গুনছে প্রহর। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা খালিশা চাপানী পূর্ব বাইশ পুকুর ভান্ডুর বাড়ী থেকে রমজান আলীর বাড়ী পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ১০০০ মিটার ভাঙ্গনের কবলে পরেছে বসতবাড়ী। ঘরের সাথে গাছপালা ভেঙ্গে পরায় কখন যে বাড়ীঘর নদী গর্ভে চলে যাবে তার কোন ইয়ত্তা নাই।উতর বঙ্গের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্রীজের পূর্বে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেক কৃষকের ফসলি জমি সহ বসতবাড়ী। অনেকে হয়েছে ভূমিহীন ও বাস্তুহারা।কখন যে জনজীবন গ্রাস করে নেয় এই প্রলয়ঙ্করী নদী।কেড়ে নেয় কৃষকের সোনালী স্বপ্নো।বর্ষা এলেই ঢেউয়ের গর্জনে নিমিশেই ভেঙ্গে করে তছনছ।সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমে রাত্রিতে ও কেড়ে নেয় প্রশান্তির ঘুম।
ঐ বাড়ীর মালিক রমজান আলী বলেন যেটুকু আবাদী জমি ছিল সবটুকু নদীতে চলে গেছে। সংসার চালানোর মতো কয়েকটি গরু পালার ঘরটি ও ভাঙ্গে গেলে চলবো কি করে। শারমিন আক্তার বলেন এই বাড়ী ভেঙে গেলে বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবো।এলাকাবাসীর পক্ষে দেলোয়ার হোসেন, ভান্ডু মিয়া ও মইনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে উক্ত যায়গয় অতি দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার বলেন, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর একটি লিখিত আবেদন ও করা হয়েছে, তাই এর দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, যে জায়গাটা ভাঙ্নরত এই প্রথম আমি জানলাম।,পরিদর্শন করে দেখব কাজ করার মতো হলে উর্ধতন কর্মকর্তাকে তথ্য পাঠিয়ে দেব।