ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপ
মোঃমামুন ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য ''বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার'' র্যালিসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব ''পহেলা বৈশাখ'' 'বাংলা নববর্ষ- উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।''
একটি র্যালী বের করে ডিমলা উপজেলা প্রশাসন ও সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে জাতীয় সংগীত, ''এসো হে বৈশা।খ'' ও দেশাত্ববোধক গান, লাঠি খেলা, লোকজ নৃত্য, রাখি বন্ধন ও আবৃত্তির মাধ্যমে নববর্ষকে আহবান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারি ভূমি কমিশনার ফারজানা আক্তার, উপজেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্স ফজলে এলাহী, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা,, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধানসহ এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া কর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সর্বস্তরের মানুষজন।''
বক্তারা বলেন- পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালন ''বাঙালি সংস্কৃতির'' একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি সমাজ নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ দিনটি বাঙালি জাতির এক মহামিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়। তারা বিগত বছরের সকল ব্যর্থতা, গ্লানিসহ সবকিছু ভুলে নববর্ষকে বরণ করে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।''
দিবসটি বাঙালির বাঙ্গালিয়ানা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে মৈত্রী, সম্প্রীতি, চেতনার জাগরণ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে জেগে উঠার প্রত্যয়ে অতীতের সকল গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন দিনে স্বাভাবিক জীবন চলার প্রত্যাশায় পালিত হয়। ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালি পোশাক, বাহারী শাড়ী-পাঞ্জাবী পরে রং-বেরঙের-প্লেকার্ড-ফেস্টুনসহ ''বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়'' সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।''