মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাভার মডেল থানাধীন ভাঙ্গা ব্রিজের আগে তুরাগ ময়লা স্তুপের সামনে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১২:৪৫ ঘটিকা সময় হইতে বিকেল ০৪:২৫ ঘটিকা সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ২৫ লক্ষ টাকার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং-৭৩, তারিখ-২৬/০৯/২০২৫ খ্রি. ধারা-১৭০/৩৬৫/৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। তার ই ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলা পুলিশের অভিভাবক সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় ডাকাতির ঘটনা রহস্য উদঘাটনের লক্ষে ডিবি (উত্তর) ঢাকা জেলার ছায়া-তদন্তকালে, তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ জালাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গত ১২/১০/২৫ খ্রি. বিকাল ১৬:২৫ ঘটিকায় সাভার মডেল থানাধীন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা হইতে ডাকাত/ছিনতাইকারী দলের সদস্য ১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪২), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, মাতা-মৃত সনেকা খাতুন, সাং-নবীন, থানা-চাটমহর, জেলা-পাবনা, এ/পি সাং-জালকুঁড়ি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, ২। মোঃ সুমন মিয়া (৬৫), পিতা-মৃত সৈয়দুর রহমান, মাতা-মৃত আমেনা বেগম, সাং-ধাতুয়া, থানা-শ্রীবর্দী, জেলা-শেরপুর, এ/পি সাং-আরিচপুর (কালামের বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা-টঙ্গী, জেলা-গাজীপুর, ৩। সিদ্দিকুর রহমান ওরফে ইদ্রিস (৪৮), পিতা-নুর ইসলাম, মাতা-মৃত সাফিয়া বেগম, সাং-গাবুয়া, থানা-মির্জাপুর, জেলা-পটুয়াখালী, ৪। আফজাল হোসেন ওরফে উজ্জল (৪২), পিতা-মৃত ময়নাল মিয়া, মাতা-মৃত হানিফা বেগম, সাং-করতল, থানা-রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার, ৫। মামুন আহম্মেদ মিন্টু(৫২), পিতা-মোঃ হারুন শিকদার, মাতা-মৃত রাহেলা বেগম, সাং-ভাটপাড়া, থানা-আলফাডাঙ্গা, জেলা-ফরিদপুর, ৬। মেহেদী হাসান (২৭), পিতা-ইউনুস বিশ্বাস, মাতা-পারভীন, সাং-বাটাজোর, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরা, ৭। শামীম আহম্মেদ সবুজ (৩২), পিতা-মৃত মোশারফ হোসেন, মাতা-শাহিনা বেগম, সাং-গুরুগ্রাম, থানা-দেবহাটা, জেলা-সাতক্ষীরাদের গ্রেফতার করেন। ধৃত ডাকাত/ছিনতাইকারীদের নিকট হইতে ১। ০১ (এক) টি সাদা রংয়ের নোয়া গাড়ি, যার রেজিঃ নং- ২। ০১ (এক) টি খেলনা পিস্তুল কভারসহ, ৩। ০৩ (তিন) টি RAB এর কটি, ৪। ০১ (এক) টি ওয়াকিটকি, ৫। ০১ (এক) টি হ্যান্ডকাপ, ৬। ০১ (এক) টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, ৭। ০২ (দুই) টি কালো ফিল্ড ক্যাপ , ৮। ০১ (এক) টি ওয়েট মেশিন, ৯। ০৩ (তিন) টি পকেট রাউটার, ১০। ০২ (দুই) টি মোটা কালো কসটেপ, ১১। ০১ (টি) কাঠের লাঠি, ১২। ১০(দশ) টি মোবাইল সিম, ১৩। ০১ (এক) টি সেনাবাহিনীর লগোযুক্ত প্রফেশনাল নোটবুক, ১৪। ভুয়া নাম্বার প্লেট, ১৫। ছোট ব্যাগসহ উদ্ধার করেন ৷ ধৃত ডাকাত/ছিনতাইকারীরা উপরোক্ত মামলার ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং উক্ত মামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন ডাকাত ঢাকা ডিএমপি এলাকায় অবস্থান করছে মর্মে জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি রমনা থানাধীন কাকরাইল এলাকায় উক্ত চৌকষ টিম অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের সদস্য ৮। মোঃ শাহাদাত (৬০), পিতা- হোসেন আলী, মাতা-মৃত জয়নব বেগম, সাং-দক্ষিন বড় মাচুয়া, থানা-মঠবাড়িয়া, জেলা-পিরোজপুর, এ/পি সাং-বনশ্রী, থানা-খিলগাঁও, জেলা-ডিএমপি ঢাকা, ৯। মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩৭), পিতা-মৃত নুরুর হক প্রধান, মাতা-রাশিদা, সাং-কানুন গো সাহেবের কান্দি (কানুনঘুর কান্দি ছুরির চর, ইউপি-উত্তর তারাবুনিয়া) , থানা- সখিপুর, জেলা -শরীয়তপুর, এ/পি সাং-উলাইল (মানিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকাদেরকে ধৃত করেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলার লুন্ঠিত ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। ধৃত ডাকাত/ছিনতাইকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মাইক্রো, হাইচ, নোয়া গাড়ি যোগে ঢাকা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুয়া RAB পরিচয়ে চুরি/ডাকাতি/ ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানার মামলা নং-৭৩, তারিখ-২৬/০৯/২০২৫ খ্রি. ধারা-১৭০/৩৬৫/৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীদের পিসিপিআর পর্যালোচনা করে, ডাকাত/ছিনতাইকারী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪২) এর বিরুদ্ধে (মামলা সংখ্যা ৪ টি, আসামী মোঃ সুমন মিয়া (৬৫) এর বিরুদ্ধে (মামলা সংখ্যা ৬ টি, আসামী সিদ্দিকুর রহমান ওরফে ইদ্রিস (৪৮) এর বিরুদ্ধে(মামলা সংখ্যা ৬ টি, আসামী আফজাল হোসেন ওরফে উজ্জল (৪৮) এর বিরুদ্ধে(মামলা সংখ্যা ৩ টি, আসামী মামুন আহম্মেদ মিন্টু(৫২) এর বিরুদ্ধে (মামলা সংখ্যা ৫ টি, আসামী শামীম আহম্মেদ সবুজ (৩২) এর বিরুদ্ধে(মামলা সংখ্যা ৪ টি, আসামী মোঃ শাহাদাত (৬০) এর বিরুদ্ধে (মামলা সংখ্যা ১ টি, এবং আসামী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩৭) এর বিরুদ্ধে (মামলা সংখ্যা ১ টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।