স্টাফ রিপোর্টার
হাসিনুজ্জামান মিন্টু,
পঞ্চগড় জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী এবং সবচেয়ে পূরোনো সাংবাদিকদের সংগঠন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
বুধবার রাতে একদল যুবক প্রেসক্লাবে তালা দেয়া এবং বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধরা সাংবাদিকরা তালা ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে অবস্থান শুরু করলে অনাকাংখিত ঘটনা রোধের জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। জানাগেছে বুধবার রাতে একদল দূবৃত্ত প্রেসক্লাবে অবস্থানকারী সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে তালা দেন। রাতেই বিক্ষুব্ধ পেশাদার সাংবাদিকরা ক্লাবের সামনে তালা খুলে দেওয়ার দাবীতে পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কে অবস্থান নেয় । পরে সদর থানা পুলিশ এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মজিদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কয়েকঘন্টা অবস্খানের পর জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবস্থান তুলে নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। এসময় বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে প্রেসক্লাব খুলে দিয়ে সাংবাদিকদের হাতে চাবি ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানানো হয়। তা নাহলে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা নিজেরাই প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে ভেতরে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন। আলটিমেটাম অনুযায়ি সকাল সাড়ে দশটায় তালা ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। এদিকে প্রেসক্লাবের অন্য একটি পক্ষও দুপুর বারোটায় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন।
পরে জেলা প্রশাসক অপ্রিতিকর ঘটনার আশংকায় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামানের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবে সিলগালা করা হয়।
জানাগেছে জুলাই বিপ্লবের পর ১৭ বছর সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিকেরা প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিলে পূর্বের নেতৃবৃন্দ পালিয়ে যায়। এসময় একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সংঘাত এড়াতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে প্রেসক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে।
এদিকে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে তালা দেওয়ার ঘটনায় তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আহমেদ আবু জাফর। রাতেই তিনি তার ফেসবুকে আইডিতে লেখেন পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে তালা লাগিয়েছেন কারা। তালা দেওয়ার পর থেকেই ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিক।
জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত এবং অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।