আতিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পর অটোরিকশা চালক আবু বক্কর সিদ্দিকের (৪০) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার বাগড়া তালপুকুর এলাকার একটি জলাশয় থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সম্প্রতি নতুন ব্যাটারি লাগানোর পরই তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। স্বজন ও স্থানীয়দের ধারণা, সেই ব্যাটারির জন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবু বক্কর উপজেলার গোসাইবাড়ি কলোনীর বাসিন্দা। আবু বক্করের দুই ছেলে রয়েছে, যাদের বয়স ১২ ও ৫ বছর।পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা স্ত্রী ও দুই সন্তান। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আবু বক্কর তাঁর অটোরিকশায় নতুন ব্যাটারি লাগিয়েছিলেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সোমবার বিকেলে বাগড়া তালপুকুর এলাকায় একটি জলাশয়ে অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং তার স্বজনদের খবর দেয়। পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা আবু বক্করকে শনাক্ত করেন। মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষের ভিড় জমে। এ সময় নিহতের স্ত্রী মালা বেগম ও সন্তানের আহাজারিতে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত সবাই হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। মালা বেগম জানান, নতুন ব্যাটারি লাগানোর পর তার স্বামী খুব খুশি ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে ভালোভাবে সংসার চালাতে পারবেন। কিন্তু সেই ব্যাটারির জন্যই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই আবু বক্করকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।