আতিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে নৃ’শং’সভাবে হ’ত্যা করার ঘটনার নেপথ্যের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে নিহ’ত ইমরানের মামা জয়পুরহাটের জিশান। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ইমরানের মোটরসাইকেলের প্রতি লোভ থেকেই পরিকল্পিত এ হ’ত্যাকা’ণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার দিন রাতে জিশানসহ আরও তিনজন মিলে ইমরানের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা রাত্রী যাপনের কথা বলে অবস্থান নেয়। পরে কৌশলে মোটরসাইকেলের চাবি ও কাগজপত্র নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ইমরান বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দিলে দু’র্বৃত্ত’রা তাকে মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর ধা’রালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কু’পিয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে হ’ত্যা করে। চিৎকার শুনে ইমরানের মা রানী বারান্দায় এলে তাকেও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পর ইমরানের স্বজন হাসানকে জো’রপূর্বক তুলে নিয়ে যায় তারা। তবে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা থেকে পুলিশ তাকে অ’চেতন অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জানা যায়, দুর্বৃত্তরা তাকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে অ’জ্ঞান করে রেখেছিল।পরে পুলিশের জি’জ্ঞাসাবাদে হাসান ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। তার স্বীকৃতির ভিত্তিতেই মা’মলার মূল রহস্য উদঘাটিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে এক আসা’মিকে গ্রে’ফতার করেছে, তবে বাকি তিনজন এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে পলাতক আসা’মিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।