শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৫ আগস্ট ঢাকায় বিজয় মিছিলে যশোরের বেনাপোলের আব্দুল্লাহ নামে এক ছাত্র কপালে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ হন। শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় সহায়তা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকারি সব অনুষ্ঠানে তার পিতাকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়া জাতীয়ভাবে জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারকে সহায়তার জন্য তাদের পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য তথ্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তারা সরকারি এককালীন অনুদান ৩০ লাখ টাকা, ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট ও মাসিক একটি ভাতা পাবেন।
শহীদ আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগ শুধু তার পরিবারের নয়, এটি বেনাপোলবাসীর গর্ব। সেই গর্ব চিরস্মরণীয় করে রাখতে এলাকাবাসী ও তার পরিবারের দাবি, বেনাপোল পৌরসভার প্রবেশদ্বারে থাকা প্রধান গেটটির নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আব্দুল্লাহ গেট’ রাখা হোক। পাশাপাশি গেটটির পাশে একটি স্মৃতিফলক স্থাপনের দাবি তোলেন এলাকাবাসী, যাতে লেখা থাকবে একজন তরুণ কীভাবে মাথার রক্ত দিয়ে ইতিহাস লিখে গেছেন, কীভাবে ঢাকার রাজপথে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক নিপীড়িত তরুণ গড়েছেন স্বৈরাচারবিরোধী এক নতুন অধ্যায়।