অবশেষে বাঘের (খুলনা টাইগার্স) কান্না এবং সিংহের (চিটাগং কিংস) গর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে খুলনাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ১২ বছর পর বিপিএলের ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস।
রোমাঞ্চকর জয় চিটাগংয়ের
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিংয়ে নামে চিটাগং কিংস। খুলনা টাইগার্স ১৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলে সেই রান তাড়া করতে নামে চিটাগং। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটি—প্রথম ওভারেই ওপেনার পারভেজ ইমন বিদায় নেন হাসান মাহমুদের বলে। এরপর ৩৫ রানের মাথায় গ্রাহাম ক্লার্কও ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪ রানে।
তবে তালাত ও নাফায় ৭০ রানের দারুণ জুটি গড়লে ম্যাচে ফেরে চিটাগং। তালাত ৪০ রান করে নাসুমের বলে ফিরলেও চাপ সামাল দিতে পারেননি বাকিরা। একে একে বিদায় নেন শামীম, নাফায় এবং তালাত। ১১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে চিটাগং।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারে প্রথম বলে চার মেরে আশা দেখান আরাফাত সানি। এরপর শরিফুল এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান, তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান। তখন শেষ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল চিটাগংয়ের। দারুণ শটে ডিপ এক্সট্রা কভারে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন আলিস আল ইসলাম।
খুলনার সংগ্রাম
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা টাইগার্স। মাত্র ১১ রানের মধ্যে অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ (২) ও অ্যালেক্স রস (০) সাজঘরে ফেরেন। এরপর মোহাম্মদ নাঈম (১৯) ও আফিফ হোসেন (২৩) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে খুলনা।
তবে হেটমায়ার ও অংকনের ৬১ রানের জুটি দলকে টেনে তোলে। হেটমায়ার ৩৩ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যা খুলনাকে ১৬৩ রানের সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়।
চিটাগংয়ের পক্ষে ফার্নেন্দো ২টি উইকেট নেন, আর শরিফুল, আল ইসলাম, খালেদ ও সানি প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।
ফাইনালে বরিশালের মুখোমুখি চিটাগং
প্রায় ১২ বছর পর বিপিএলে ফিরেই ফাইনালে জায়গা করে নিল চিটাগং কিংস। ২০১৩ সালে শেষবার ফাইনালে উঠলেও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে ৪৩ রানে হেরে গিয়েছিল দলটি।
আগামী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে ফাইনালে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে চিটাগং কিংস। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
ফাইনালের উত্তেজনার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা!