মোঃ মামুন (ডিমলা) নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে চলছে চড়খড়ি বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। মাসে শুধু এক বার গিয়ে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা তুলছেন শিক্ষকরা। নিয়মিত বিদ্যালয় আসলেও তেমন কিছু শিখতে পারছেন না কোমলমাতি শিক্ষার্থীরা। এতে করে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিবাবকরা। চর অঞ্চলে বিদ্যালয়টি হওয়ায় তেমন কোন নজর নেই উর্ধতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান পরিচালনা করছেন প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান।
শিক্ষকরা হলেন, প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, , সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত চন্দ্র রায় ও তাছিকুল ইসলাম।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাড়া বাকী শিক্ষক নেই
আকবার আলী নামে একজন সুমি আক্তার নামে অপর প্রক্সি শিক্ষক উপস্থিত আছে।লুঙ্গি পড়া অবস্থায় ৬০বছর বয়সী প্রক্সি শিক্ষক আকবর আলী এক কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এক কক্ষে করেছেন।
উপস্থিত প্রক্সি শিক্ষক আকবর আলী বলেন শিক্ষকরা নিয়মিত না আসায় মাসিক টাকার বিনিময়ে আমি আর সুমি আক্তার দুইজন প্রক্সি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস পরিচালনা করছি।
স্থানীয় তছর আলী বলেন, শিক্ষকরা মাসে এক দুই দিন আসে। আর শুধু বেতন ভাতা তুলে। নিজের ইচ্ছে খেয়ালমত বিদ্যালয় চালাচ্ছেন।প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান এবিষে মন্তব্য করতে অশিকার করেন।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পাঠদান করানোর কোন নিয়ম নেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন,উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জোগসাজস নাথাকলে একাজ হয় কিকরে।