মনা নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাদকমুক্ত রাজনীতি: বিএনপির স্পষ্ট বার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী ঘোষণা দিয়েছেন:
“মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ীরা বিএনপির রাজনীতি করতে পারবে না।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে তারেক রহমান শুধু দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার বার্তাই দেননি, বরং দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলকে মাদকমুক্ত করার দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন।
কেন এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ?
যুব সমাজকে রক্ষা: মাদক আমাদের দেশের তরুণদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা, যা তারেক রহমানের ঘোষণায় প্রতিফলিত হয়েছে।
দলীয় শুদ্ধি অভিযান: বিএনপি বারবার দাবি করে এসেছে, তারা স্বচ্ছ ও জনবান্ধব রাজনীতি চায়। এই পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই এক সাহসী অগ্রগতি।
নেতৃত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠা: রাজনৈতিক নেতারা যেমন হবেন, অনুসারীরাও তেমন হবেন। এই ঘোষণা নেতাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলবে, এবং ভালো মানুষদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহ দেবে।
জাতীয় রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত: অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও উচিত এই ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা। দল নির্বিশেষে সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই না করলে আমাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন।
আমরা কী করতে পারি?
মাদক থেকে দূরে থাকুন।
মাদকসেবী বা মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বর্জন করুন।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে দলের প্রতি দাবি জানান।
মাদকমুক্ত রাজনীতি মানেই মেধাভিত্তিক রাজনীতি।
মাদকমুক্ত দল মানেই উন্নত ভবিষ্যৎ।