মোঃমামুন ডিমলা ( নীলফামারী) প্রতিনিধি
মানবেতর জীবন যাপন স্বত্তেও থেমে নেই নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা খালিশা ৭ নং চাপানী ইউনিয়ন অন্তর্গত বাইশ পুকুর গ্রামে প্রবল বন্যা ও তিস্তা নদী ভাঙ্গন দেখতে গিয়ে জানা যায় যে ঐ গ্রামে সরকারি ও - বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও মন্দির রয়েছে, এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে একটি বেসরকারি বিদ্যালয় যা বাইশ পুকুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে চিহ্নিত। এলাকার ব্যক্তির একাধিক সূত্রে জানা যায় যে বিদ্যালয়টি ২০০৮ ইং সালে স্থাপিত হয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অত্র বিদ্যালয়টি স্বীকৃতীপ্রাপ্ত থাকা স্বত্তেও এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়নাই। বিদ্যালয়টিতে যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে। দূর্গম চাঞ্চল্ে অবস্থিত ঐ বিদ্যালয়। চড়ের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয়টি একান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অভিভাবক গন।ঐ গ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাথাকায় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনেক দুরে হওয়ায় গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অন্যত্রে লেখা পড়া করতে যেতে পারে না।তাই ঐ এলাকার মেয়েরা প্রাইমারি পাশ করার পর অভিভাবকরা বিয়ে দিয়ে দেন।ফলে শিক্ষার্থী ঝরে পরার সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই চড়ের মেয়েদের বাল্যবিবাহ রোগে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া থেকে শিক্ষার মানোন্ননে বিদ্যালয়টির প্রয়োজনীয়তা আছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃআবু সাঈদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এমপিও ভুক্ত না-হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষক কর্মচারী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় বিগত সরকারের আমলে এমপিও ভুক্ত হয়নাই। জনবান্ধন ও বৈষম্য বিরোধী সরকার যদি চাঞ্চল্ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিবেচনা করে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করলে অবহেলিত গ্রামে ছেলে মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং বাল্য বিবাহ ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়া থেকে মুক্ত হবে। এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী গন মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তি পারে।