মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঘটনাস্থল- যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে,প্রগতি স্মরণী
ঘটনার বিবরণ :- যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বসুন্ধরা গেটের সামনে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ঢাকা মেট্রো থ ১৬- ০০৫২ সিএনজি চালকের অসংলগ্ন এবং বেপরোয়া চালনা দেখে সন্দেহ হয় এবং তাকে সিগন্যাল দেই। চালক সিগনাল পাওয়ার পরে বেপরোয়াভাবে জায়গায় ইউটার্ন নিয়ে একটি মোটরসাইকেল কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বিপদ জনক ভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সিএনজি চালকের আচরণ সন্দেহ হওয়ায় আমি সার্জেন্ট আরিফ এবং আমার সহকর্মী শি: সার্জেন্ট মমিনুল ইসলাম সিএনজিটির পিছনে ধাওয়া করি এবং আজিজ সড়কে গিয়ে পথচারীদের সহায়তায় সিএনজি এবং সিএনজির ড্রাইভারকে আটক করি। ড্রাইভারের দেহ এবং সিএনজি তল্লাশি করে তার কাছে গাঁজা সেবনের কল্কি, নেশা জাতীয় তামাকের সাদা পাতা ও অন্যান্য উপকরণ পাই। এছাড়া গাড়ি তল্লাশি করে ড্রাইভিং সিটের নিচে একটি ছিনতাইকৃত ব্যাগ পাওয়া যায় যার মধ্যে একটি মোবাইল ফোন, চার্জার, কয়েকটি এনআইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট এর কপি, শিক্ষাগত সনদপত্রসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র সংরক্ষিত ছিল। কাগজপত্র দেখে একটি ফোন নাম্বার জোগাড় করি এবং ফোন দিয়ে জানতে পারি এই ব্যাগটি উক্ত সিএনজি ড্রাইভার তার যাত্রী অনিক সাহেবের কাছ থেকে ছিনতাই করে নিয়ে এসেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, যাত্রী অনিক সাহেব তাকে মোটরসাইকেলের সহায়তা নিয়ে ধরার চেষ্টা করলে তাকেও ধাক্কা মেরে আঘাত করে বেপরোয়া ভাবে চলে আসে ফলে তিনি সিএনজিকে ধরতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ব্যাগে সংরক্ষিত মোবাইল ফোন, কাগজপত্র সহ ব্যাগটি অক্ষত অবস্থায় প্রকৃত মালিক অনিক সাহেবের নিকট হস্তান্তর করি।
৫।গৃহীত ব্যবস্থা: আটককৃত সিএনজি এবং সিএনজির ড্রাইভার, উদ্ধারকৃত গাঁজা সেবনের কল্কি, তামাকের সাদা পাতাসহ ভাটারা থানায় বুঝিয়ে দেয়া হয়।
সবাই সাবধানে চলাচল করবেন, প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নিবেন।
ধন্যবাদ সার্জেন্ট আরিফ এবং সার্জেন্ট মমিনুল।
বিনীত -
সার্জেন্ট মোঃ আরিফুর রহমান