মনা যশোর প্রতিনিধিঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোরের শার্শা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে। সম্প্রতি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও বেনাপোল পৌরসভায় জরুরি কর্মী সভার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর মহিলা দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’-এর পক্ষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মফিকুল হাসান তৃপ্তির প্রতি আস্থা ও জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।
বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ বলেন, “মফিকুল হাসান তৃপ্তি দলমত নির্বিশেষে শার্শার সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা। তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে পছন্দ করে। আগামী নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে শার্শা আসনটি আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব।”
শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দিন বলেন, “বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, তাই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকা স্বাভাবিক। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যিনিই প্রার্থী হবেন, উপজেলা বিএনপি তাকে নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তবে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য ভোট রয়েছে। তাই প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী হিসেবে মফিকুল হাসান তৃপ্তিই সবচেয়ে উপযুক্ত। তার গ্রহণযোগ্যতা সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি।”
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন। তার অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে শার্শার জনগণ তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তৃপ্তি ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।