মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ ০৪ আগস্ট ২০২৫, মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন শাখায় দুজন ব্যক্তি ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে এলে দেখা যায়, তাদের উপস্থাপিত জিডি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাগজে পূর্ব থেকেই জাল সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। প্রশিকিউশন ইনচার্জ বিষয়টি প্রথমে নজরে আনেন, যিনি তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করে সন্দেহজনক মনে করেন এবং বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি ট্রাফিক মিরপুর জনাব গৌতম কুমার বিশ্বাস স্যার-এর নজরে আনেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেন, তারা বিআরটিএ সংলগ্ন একটি কম্পিউটার দোকান থেকে ৭০০ টাকার বিনিময়ে ‘জিডি ও ক্লিয়ারেন্স প্যাকেজ’ কিনেছেন। প্রতারক চক্র জানত না, তাদের জমা দেওয়া গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, যার ফলে বিআরটিএ থেকে তাদের ক্লিয়ারেন্স বাতিল করে পুনরায় ট্রাফিক অফিসে পাঠানো হয়।
বিষয়টির গভীরতা বিবেচনায় ডিসি ট্রাফিক মিরপুর স্যার তাৎক্ষণিক প্রাথমিক অনুসন্ধান পরিচালনা করে সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং একটি টিম গঠন করে অভিযানের নির্দেশনা দেন।
অভিযানে সহায়তা করেন মিরপুর আর্মি ক্যাম্পের সিও মহোদয়, যাঁর নির্দেশে একটি সামরিক টিম অভিযানে সাপোর্ট প্রদান করে।
যৌথ অভিযানে জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ভুয়া ডকুমেন্টস, সিল ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে আটককৃতদের বিআরটিএ আদালত-০৯ এর ম্যাজিস্ট্রেট জনাবা তাসমিয়া জাইগীর এর নিকট হাজির করা হলে, তিনি উক্ত দুই প্রতারককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ জালিয়াতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সাধারণ জনগণকে অনুরোধ, কেউ যেন দালাল বা অবৈধ পন্থার আশ্রয় না নেন। সরকারি যেকোনো সেবা গ্রহণে নির্ধারিত আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
সততা, পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার প্রতীক — মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ।
বি:দ্র:- ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স / জিডি করার জন্য কোন প্রকার
অর্থ/ফি এর প্রয়োজন নেই।