স্টাফ রিপোর্টার
হাসিনুজ্জামান মিন্টু
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই জানাযায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
গায়েবানা জানাযায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মামুনুর রশিদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, জামায়াতে ইসলামীর যুবনেতা মোকারম হোসাইন এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা আল হাবিবসহ আরও অনেকে।
জানাযা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, শরীফ ওসমান হাদি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বা পক্ষভুক্ত ছিলেন না। তিনি কোনো দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্য না দিয়ে বরাবরই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে কথা বলেছেন। বিশেষ করে ভারতের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
বক্তারা দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা। বক্তাদের দাবি, প্রশাসনের গাফিলতি কিংবা নীরবতার সুযোগেই অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
গায়েবানা জানাযায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতি মো. মাসুদ আলম।
এদিকে, একইদিন সন্ধ্যায় এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্রজনতার উদ্যোগে রাণীশংকৈল পৌর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।