জি,এম স্বপ্না,সিরাজগঞ্জ :
অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন ৮ নং সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে ফৌজদারী আর ২০ টাকা ফি দিয়ে দেওয়ানী মামলার সুযোগ পাচ্ছেন।এতে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারছেন বাদী-বিবাদীরা।শুধু তাই নয়,৯০ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের মামলা নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও ১ মাসের আগেই এসব মামলা নিষ্পত্তি করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রাম আদালত পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ এবং উপকৃত হচ্ছেন জনগোষ্ঠী সুযোগ উপকৃত হচ্ছেন প্রান্তিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী,অসহায় পরিবার ও নারী ঘটিত মামলার বাদী বিবাধীরা।বিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়াও বিবাদমান দুইটি পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃ স্হাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সহজে বিচার পাবার আশায় ভুক্তভোগীরা ছোট ছোট বিরোধ নিয়ে থানা পুলিশ ও কোট কাচারী বা জেলা মোকাম আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে না।গ্রাম আদালতে বাইরের কোন আইনজীবী নিয়োগের বিধান নাই।বাদী-বিবাদীরা নিজেদের কথা নিজেরাই বলতে পারে।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রানা ইসলাম গ্রাম আদালতের পেশকারের দায়িত্ব পালন করেন। সহযোগিতায় থাকছেন উপজেলা গ্রাম আদালত সমন্বয়কারী ছালমা খাতুন।গ্রাম আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশ।ইতিমধ্যেই গ্রাম আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিচারক রফিকুল ইসলাম মন্টু।সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম আদালতের বিচারক ১ নং ওয়ার্ডে।র মেম্বর রফিকুল ইসলাম মন্টু এ প্রতিনিধি জানান,সরকার পতনের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিষদের সকলের সহযোগিতায় গত মার্চ হতে এ পর্যন্ত ৩৩ টি ফৌজদারি ও ৯টি দেওয়ানি নারী ঘটিত ১৪ টি মামলার শুনানি নিষ্পত্তি ও খারিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।বিচারক মন্টু আরও জানান সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচারপ্রার্থী হলে পরিষদে আবেদন ফি ছাড়া অন্য কোন টাকা লেনদেনের সুযোগ নাই।সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত সাধারণ জনগণ যেন ন্যায় বিচার পেতে হয়রানী না হয় সে জন্য আমি পরিষদের সকল মেম্বরসহ সংশ্লিষ্টদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা কামনা করছি।