।নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর বাড়ি নির্মাণের মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। মোস্তফা নামের ওই ব্যবসায়ীর ছেলে সারফারাজের নামে দলিল মূলে কেনা জমি জবর দখল করতে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালানে হয়েছে। ওই এলাকার মোবাশ্বির প্রিন্স নামের এক যুবকের নেতৃত্বে গত ২৩ এপ্রিল শহরের নতুন বাবুপাড়া পৌরসভা রোড এলাকায় ওই হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৫ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোস্তফা। শহরের বিসিক শিল্প নগরীর গাউসিয়া ফ্লাওয়ার মিলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। এছাড়া নীলফামারী জেলা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন নতুন বাবুপাড়ার উল্লিখিত এলাকায় দলিল মূলে কেনা আমার ছেলে সারফারাজের ৭ শতক জমি রয়েছে। যার খারিজ, খতিয়ান, বিএস আমার ছেলের নামে হালনাগাদ রয়েছে। এমনকি ওই জমি মর্টগেজ রয়েছে স্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাংকে। তিনি বলেন, গত ২৩ এপ্রিল ওই জমিতে পৌরসভার নকশা অনুমোদন নিয়ে বাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করি। এ সময় মোবাশ্বির প্রিন্স নামের এক যুবক লোকজন নিয়ে কাজে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এর পরে তারূ আমার বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধনও করে। সেখানে আমার বিরুদ্ধে নানা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় তিনি সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এবং নীলফামারী আদালতে জমি প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তিনি আইনী সুরক্ষা দাবি করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিকার কামনা করেন। এজন্য সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী পুত্র মো. সারফারাজসহ কাজী শমসের উদ্দিন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুবাশ্বির প্রিন্স বলেন, ওই জায়গা সরকারি এবং রোটারি ক্লাবের আয়ত্বে রয়েছে। ব্যবসায়ী মোস্তফা সেটি তাঁর কেনা বলে দখলে নিয়েছিল। কিন্ত সেটা মূলত খেলার মাঠ ছিল। আমরা ছোট থেকে সেখানে খেলাধুলা করেছি। আমরা জমি দখলের অপচেষ্টা প্রতিহত করেছি মাত্র। কোন মালামাল লুটপাট হয়নি। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আইনীভাবেই আমি মোকাবেলা করবো।