
আতিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শেরপুরে পৃথক দুটি ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। একই দিন ভোরে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়ক থেকে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার মহিপুর এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রাফিউল হাসান (২৩) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনি শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের রেজাউর করিমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজ শেষে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড শাহী মসজিদ এলাকা থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত একটি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন রাফিউল। মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ওরিন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে ওভারটেক করার সময় তার মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে শুক্রবার ভোরে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের ধুনটমোড় এলাকায় সড়কের পাশে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ নিহতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর রশিদ (৩৫)। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবত্তর সিংড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে উভয় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুরের ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে সড়ক দুর্ঘটনা। ভোরে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ঘটনাটিও প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘাতক বাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।