আতংকিত এলাকাবাসী। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম শুরু। টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের
জিল্লুর রহমান ষ্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির প্রতাপনগর কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন! আতংকিত এলাকাবাসী। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম শুরু। টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় ভুক্তভোগীদের। বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাতের ভাটার টানে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের দক্ষিণ পাশের প্রায় দুইশত ফুট স্থান জুড়ে কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধে এ ভয়াবহ ভাঙ্গন ধ্বংস দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে এ খবর এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনের এ খবর সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অবগত হয়ে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাছকিয়া। এবং নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলগেট, লিবার শ্রমিকদের মাধ্যমে জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে ডাম্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওঃ নুরুল আবসার মুরতাজা, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী, অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ সোহরাব হোসেন, অধ্যক্ষ মাওঃ মুজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মাওঃ অহিদুজ্জামান, প্রভাষক মাওঃ শাহজাহান আলী ও মাওঃ আল আমিন, প্রতাপনগর মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক, প্রমুখ। ভাঙ্গন স্পষ্ট এলাকা পর্যাবেক্ষন প্রতিয়মান হয় যে ভোষকা মাটি আর চোরা বালুর ঝুঁকিপূর্ণ এই বেড়িবাঁধ বারবারই ভাঙ্গে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকাবাসী। ইতোপূর্বে এ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের একের তিন অংশ কপোতাক্ষ নদীর করালগ্রাসে বিলিন হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ নিঃস্ব হয়েছে পরিবার। বিগত দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াস ঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি এই এলাকার সাধারণ মানুষ। আগামী বর্ষা মৌসুমের সময়ে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পরিনত হতে পারে, এহেন পরিস্থিতিতে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের।