শিশু অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন, মাদারীপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
মেহেদী হাসান, (রাজৈর)- মাদারীপুর প্রতিনিধি।
রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের লাউসর গ্রামে বসবাসরত ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু কিশোরী নিজ ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাইলেও, পরিবারের বাধায় তাকে জোর করে ২১ বছরের এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে — এমন অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত একটি ফোনালাপে মেয়েটিকে স্পষ্টভাবে বলতে শোনা যায়:
> “আমি মুসলমান হতে চাই… আমি মুসলিম হবো…”
কিন্তু ওই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরপরই, কিশোরীর পরিবার বাধ্যতামূলকভাবে তাকে বিয়ে দেয় — ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় আমগ্রাম দক্ষিণপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে।
জানা যায়, বিয়ের সময় মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর — যা বাংলাদেশের শিশু বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।
আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন:
১৮ বছরের নিচে কোনো নারীর বিয়ে বাংলাদেশে শিশু বিবাহ হিসেবে অপরাধ গণ্য হয়
বর যদি ২১ বছরের বেশি বয়সী হন, তাহলে আইনগতভাবে দায়ী করা যায়
একইসাথে, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১(১) ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে ধর্ম পালনের ও পরিবর্তনের অধিকার
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে — একজন কিশোরী যখন স্বেচ্ছায় ধর্মান্তর হতে চায়, তখন তার সেই অধিকারকে দমন করে বিয়ে দেওয়া কতটুকু আইনসঙ্গত ও মানবিক?
এই ঘটনার অনুসন্ধানে থাকা সাংবাদিক মোঃ নাজমুল শেখ জানান:
> “আমি নিজে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। ফোনালাপে সে স্পষ্ট জানায় মুসলিম হতে চায়।
অথচ এই বক্তব্য সামনে আসার পরই তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।
এটি শুধু শিশু বিবাহ নয় — একটি কিশোরীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণের জ্বলন্ত উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন,
> “আমি চাই প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করুক। অপরাধীরা যেন আইনের আওতায় আসে এবং মেয়েটির শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”
আমার দাবি ও সুপারিশ:
1. মেয়েটির ধর্মান্তরের ইচ্ছা ও স্বাধীনতা যাচাই
2. বয়স ও বিয়ের বৈধতা তদন্ত
3. পরিবারের সদস্য ও বরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
4. কিশোরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নেওয়া
এই প্রতিবেদনটি মেয়ের জন্মসনদ, ফোনালাপ রেকর্ড ও স্থানীয় সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
প্রয়োজনে প্রশাসনের জন্য প্রমাণসহ অভিযোগপত্র পেশ করা যাবে।