মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত ১৩/০৮/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ভোর অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কালিন্দী গেট ব্রিজের সাথে খোয়াব কম্পিউটার এমব্রয়ডারীর সামনে পাকা রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অটোচালক মোঃ রুবেল (২৫) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতে কনুই এর উপরে সামনের অংশে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় । ভিকটিমের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড, হাসপাতাল ঢাকায় ভর্তি করলে অটোচালক মোঃ রুবেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ডিসিস্ট মোঃ রুবেল এর স্ত্রী প্রিয়া খানম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করিলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নম্বর -২২, তারিখ-১৫/০৮/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৩৯৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মো: আনিসুজ্জামান পিপিএম মহোদয় দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য বিশেষ নির্দেশেনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী সনাক্ত পূর্বক অভিযান পরিচালনা করে ১৫/০৮/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা এবং ডিএপির কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা হতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। শাকিল (২৪), পিতা-ফেরদৌস খানঁ, মাতা- সাজেদা বেগম সাং – বিটপুর, পোঃ কনকসার থানা-লৌহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ। এ/পি- বন্দছাটগাঁও জোড়া পুকুরপাড়, থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা ২। মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্লা (৩৬) পিতা-মৃত জলিল মোল্লা, মাতা- নুরজাহান বেগম সাং বোয়ালিয়া, পোঃ সোনা মদ্দিন বন্দর, থানা- মুলাদী, জেলা- বরিশাল, এ/পি – আমিরাবাগ ( বড় কুশিয়ারবাগ) মীর জাহান হাজীর টিনশেড বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা ঢাকা এবং ৩। মোঃ জাবের হোসেন @ জাবেদ (২৫) পিতা-আবুল মিয়া, মাতা- সুফিয়া বেগম, সাং চরজসুরগাঁও, থানা- গোসাইরহাট, জেলা- শরীয়তপুর, এ/পি মাদবর বাজার, আশ্রাফাবাদ, বাসা-১৭০ সোলেমান হাজীর বাড়ীর ৩য় তলার ভাড়াটিয়া, থানা -কামরাঙ্গীরচর, জেলা- ডিএমপি ঢাকাদেরকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকুসহ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয় । গ্রেফতারকৃত আসামীরা নিজেদের অপরাধের দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। গ্রেফকারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে।