মোঃমামুন (ডিমলা) নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফারীর ডিমলা উপজেলা ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদল মোঃ আশাদুজ্জামান আশাদুল এর ১৯তম জন্মদিন মহা ধুমধামের সহিত পালিত হয়েছে। অন্যান্য দীবসের ন্যায় জন্মদিনও যে মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার কোন ইয়ত্তা নাই।এসয় আশাদুল বলেন কাগজে- কলমে হয়তো আমার জন্মদিন নিজের সম্পর্কে লিখার মত অত বড় দার্শনিক নাহলে ও শিক্ষা জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। খালিশা চাপানী ইউনিয়ন ডালিয়া ১নং বাজারে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটা হয়।
আজ থেকে ১৯ বছর আগে এই দিনে ভোর ৪টার দিকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে পৃথিবীর আলো দেখতে পেলাম।
আলহামদুলিল্লাহ! হাজার হাজার শুকরিয়া আমার রবের দরবারে। কারণ তিনি আমাকে মানুষ বানিয়েছেন এবং শেষ নবীর উম্মত বানিয়েছেন।এ্ই দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী। হয়তোবা, আগামী বছরের এই দিনে আমি আর আমার জন্মদিন সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো না। যদি মরে যাই? তখন তো কেউ একবার মনে করেও দেখবেনা, আজকের এই দিনে কোনো এক হতভাগার জন্ম হয়েছিলো, সুন্দর এই পৃথিবীতে।
আমার বাড়িতে কারও মনেই নেই, আজকে আমার জন্মদিন। থাকারও কথা না। কেননা আমাদের বাড়িতে কোনদিন কারও জন্মদিন পালন করা হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ আমার পিতা মাতা এই অকাজের রীতিটা চালু করেননি। কেউ কখনো জন্মদিনের গিফটও দেয়নি। রাত বারোটায় কেউ ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়নি। জন্মদিন উপলক্ষে, লাল-নীল মেসেজ আসেনি মোবাইলে। কোনদিনই না/ কখনো না।
ইতিমধ্যে অনেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবাইকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে । সবাই তো দেখতেছি খালি ট্রিট চায় কিন্তু কেউ কিছু গিফট দেয় না, এবার গিফট ছাড়া কাউকে কোন প্রকার ট্রিট দিবো না।
কখনোই কল্পনা করতে পারিনি, বছরের সেরা একটি দিন ছিল। এসময় আসাদুজ্জামান এর শিক্ষা জীবনের বন্ধু গন উপস্থিত ছিলেন।
আমাকে শুভ জন্মদিন, আমার জীবনের সমস্ত কোন মন্দ দিন আমার কাছাকাছি আসতে অনুমতি দেয় না। আজ আমি আমার জন্য নিরাপত্তার’ অনেক প্রতিশ্রুতি পূরণ উদযাপন করেছি।
আগের মতন আর জন্মদিনের মজাটা নেই,সবাই সবাইকে নিয়ে এখন ব্যস্ত হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইনে জন্মদিনটা উকি দিলেও, কেউ আর উইশ করে না। তাই নিজেকে নিজের একান্ত তরফ থেকে Happy birth day to you কেক কাটার পর সকলে দোয়া মোনাজাত করে জন্মদিন অনুষ্ঠান এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।