স্টাফ রিপোর্টার : চাটমোহরে উপজেলায় ভুমি মালিকের মৃত্যুর ৯ মাস পর জাল কটনামা দলিল চুক্তি সম্পাদন বলে নিরীহ পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বিএনপির দাপট দেখিয়ে ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত ৩০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে জোর পুর্বক দখল করার পায়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।জানা যায়,চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছোট গুয়াখড়া গ্রামের রবিউল করিমের স্ত্রী করিমন নেছা গংয়েরা ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত হয়ে ৩০ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছে।যাহার মৌজা-ছোট গুয়াখড়া,আর এস-খতিয়ান নং-১৮৭৫,দাগ নং-১৭৪৩।ইতিমধ্যে বার্ধক্যজনিত কারনে জমির মুল মালিক সোলাইমান হোসেনের মৃত্যু হয়।মৃত্যুর ৯ মাস পর একই গ্রামের আকুল প্রামানিকের ছেলে প্রভাবশালী,ভুমিদস্যু মিনারুল ইসলাম গংয়েরা কট বন্ধকীতে ক্রয় করেছে বলে দখলের পায়তারা করে।তবে তার ভাই মিনারুলেরর পোস্ট পদবী না থাকলেও নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয়ে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অনেকেরই অভিযোগ। বিগত সময়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পিছে মিনারুল সব সময় ঘুরে বেড়াতো বলে অনেকেই জানায়।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পর মিনারুল নিজেকে সুবিধাবাদী বিএনপি পরিচয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।ভুমি মালিক সোলাইমান মৃত্যুর আগে বা মৃত্যুর দিন জানাজায় জমি কটের টাকা দাবী না করে মৃত্যুর ৯ মাস পর তার ভাগিনী শেফালী খাতুনের নাম উল্লেখ করে ভুয়া কট নামায় জাল স্বাক্ষরে ২ লাখ টাকা দাবী করছে।অনাদায়ে মিনারুল বাহিনী জোর পুর্বক কট নামায় উল্লেখিত জমি দখলের পায়তারা করছে।ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত জমির মালিক করিমন নেছা নিরুপায় হয়ে ভুমিদস্যু মিনারুল গংদের বিরুদ্ধে পাবনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন।যাহার মামলা নং ৫১২/২৪।তারিখ-২৯/৭/২৪ ইং। মামলায় জমিটি বাদীপক্ষ করিমন নেছার দখলে আছে বলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) চাটমোহর কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন।পরবর্তীতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,পাবনা মহোদয় ১৪৪ ধারার আইনে প্রসেডিং চুড়ান্ত করেন এবং বিবাদী পক্ষকে ৬০ দিনের জন্য জমিতে প্রবেশাধিকার নিষেধ করতে চাটমোহর থানার ওসিকে কার্যকরের নির্দেশ দেন।অপরদিকে ভুমিদস্যু মিনারুল বাহিনী ভুয়া বন্ধকী কটনামা দিয়ে জমি দাবী করে করিমন নেছাদের বিরুদ্ধে গত ১৮/৯/২৪ তারিখে পাবনা বিজ্ঞ সিনি: জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-৪ আদালতে (মামলা নং ১৯৯) দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক কটনামা স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর জাল বলে মামলাটি খারিজ করে দেন।এর পরেও ভুমিদসুরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে তোয়াক্কা না করে জোরপুর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যায়।নামধারী বিএনপি নেতা মিনারুল বাহিনী গত ১১/৩/২৫ সন্ধ্যায় অনধিকার ৩০ শতক জমিতে প্রবেশ করে করিমন নেছার রোপনকৃত ভুট্টার ক্ষেতে টিলার দিয়ে ক্ষতি সাধন করেন। ভুক্তভোগী নিরীহ করিমন নেছার লোকজন বাধা দিলে মিনারুল গংয়েরা তাদেরকে জীবন নাশের হুমকী দেয়।এ ঘটনায় করিমন নেছা পক্ষ বাদী হয়ে মিনারুল গংদের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।অসহায় জমির মালিক করিমন নেছা ন্যায় বিচার পেতে এবং জবর দখলদার ভুমিদস্যু মিনারুলের হাত থেকে জমি উদ্ধারে ক্ষেতের মধ্যে বসে আহাজারি করছেন।
চাটমোহর থানার ওসি অভিযোগটির কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এসআই জাহানুরকে নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে চাটমোহর থানার এসআই জাহানুরকে (০১৭১৬-০৩৪৬৩২) নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নাই।এদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মিনারুলকে (০১৭৩৯-৭০৫৮৪২)নং এ ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।বর্তমানে মিনারুল গংদের জবর দখল ও হুমকীতে অসহায় করিমন নেছা পরিবার চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।