,,,,,,,,,
ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিনিধিঃ হাসিনুজ্জামান মিন্টুঃ
ঠাকুরগাযের রাণীশংকৈল ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) কক্ষে আগুন লেগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই। তদন্ত টিম আসার পূর্বেই, পরিকল্পিত ভাবে এ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ছাই হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র অন্যান্য আসবাবপত্র কম্পিউটার।
বুধবার ৩০ এপ্রিল উপজেলার ৩ নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে রাতের আঁধারে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জানাগেছে, সকল ইউপি সদস্যগণ. চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে ভাতা না দেয়া, অসৎ আচরণ, রেজুলেশন জালিয়াতি, আর্থিক খাতে দুর্নিতী অভিযোগ দ্বায়ের করেন। আজ দুপুরে এই অভিযোগের তদন্ত করতে টিম আসার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই রাতেই এ-ই অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসার সাফিউল মাজলুবিন রহমান ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন।
ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়ীত্বে থাকা হেদায়েতুলা জানান, আমারা সকল ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যান মিতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম
আজ তদন্ত টিম আসার কথাছিলো। কিন্তু সকাল ৭ টা দিকে পরিষদ থেকে ফোন আসে ইউনিয়ন পরিষদে আগুন লেগেছে। এবিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ৮মং ওয়ার্ড মেম্বার তফিজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন।
গত ১৩ এপ্রিল আমরা চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি. আজ তদন্ত টিম আসার কথা ছিলো, কিন্তু খবর পেয়ে এসে দেখি সচিবের রুমে আগুনে কাগজ পত্র পুরে গেছে।গ্রাম্য পুলিশের কথা অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে এটা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এর সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইন গত ব্যবস্থা চাচ্ছি।
রাতে পাহাড়ার দ্বায়ীত্বে থাকা ফজলু চৌকিদার বলেন,গত রাত ১০ টায় ইউনিয়ন সচিব ও লিটন নামে একজন সচিব রুমে আসেন কিছুক্ষণ থাকার পরে চলে যায়। ভোর বেলা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে রুমের জানালা খুলে দেখি আগুন জলছে, পরে কয়েকজন মিলে পানি দিয়ে আগুন নেভাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাফিউল মাজলুবিন রহমান। রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বিষয় টি আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি।এখানে এসে দেখলাম এটি অনুসন্ধানের বিষয়। এ ঘটনায় কে দোষী বা নির্দোষ তা সুক্ষ ভাবে বিবেচনা করতে হবে। কারণ এ খানে বিভিন্ন ব্যক্তিসার্থ জরিত থাকতে পারে। আমি পেন্যাল চেয়ারম্যানকে একটা মামলা রুজ করতে বলেছি, মামলার তদন্ত পুলিশ করবে তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে কাদের সম্পৃক্ততা আছে এটিকি ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগানো হয়েছে নাকি এক্সিডেন্টলি হয়েছে সবকিছু অনুসন্ধানের জন্য আমরা ফায়ার সার্ভিসকেও একট টিঠি দিবো তারা এবিষয়ে এক্সপার্ট প্রিমিয়ার জমা দিবে।সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনী থেকে নেয়া হবে।