এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাদী পাশের রুম হতে তার চার বছরের শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় এবং দ্রুত ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দেখতে পায় যে আসামি তার শিশু কন্যার গলায় ধারালো ছুরি ধরে রেখেছে। এমতাবস্থায় বাদী তার মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে আসামি তাকে জাপটে ধরে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আসামির হাতে থাকা চাকু দ্বারা বাদীর বাম হাতের কব্জির নিচে আঘাত করলে সে আহত হয়।
পরবর্তীতে বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ-১৭/০৩/২০২৫খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর ৯(৪)(খ) তৎসহ ৩২৩/৩২৪/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর হওয়ায় জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব রওনক জাহান দ্রুত ব্যবস্থা গ্ৰহণের নিমিত্তে কোতয়ালী মডেল থানাকে নির্দেশনা প্রদান করেন থানার অফিসার ইনচার্জ মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ)/ মোঃ আসাদুজ্জামানের উপর অর্পণ করলে এসআই(নিঃ)/ আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম ঘটনার সাথে জড়িত আসামিকে গ্ৰেফতারে অভিযান নামে এবং অভিযোগ পাওয়ার মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে পুলিশী কলাকৌশল প্রয়োগ করে আসামির অবস্থান সনাক্ত পূর্বক কোতয়ালী মডেল থানাধীন মনিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আসামি মোঃ হাসান(১৯) কে হাতে নাতে গ্ৰেফতার করে।
পরবর্তীতে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাদীকে জখম কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা গেঞ্জি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। আসামিকে আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্ৰেফতারকৃত আসামির নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ হাসান(১৯), পিতা- মৃত আলমগীর হোসেন, সাং- উপশহর(শফিউল্লার মোড়), থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ব্যবহৃত চাকু।
২। রক্তমাখা গেঞ্জি।