এস এম মেহেদী হাসান। কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতালি ফেরত প্রবাসী হালিম খানকে হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে রাজৈর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশি আশ্বাসে পরে তারা অবস্থান ত্যাগ করেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ জুন, মঙ্গলবার। রাজৈর উপজেলার নগরগোয়ালদির মৃত কলম খানের ছেলে, ইতালি প্রবাসী হালিম খান তার দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ি রাজৈরের দ্বারাদিয়া গ্রামে যান। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার নিথর দেহ রেখে পালিয়ে যান স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
হালিমের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হালিমের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সবুজ ও আরিফা নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার জেরে (১ জুলাই, মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে প্রবাসী হালিমের স্বজন ও স্থানীয় শতাধিক মানুষ গোপালগঞ্জ ব্রিজ এলাকা থেকে ব্যানার হাতে নিয়ে রাজৈর থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ থানা গেট বন্ধ করে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা গেট ধাক্কা দিয়ে খুলতে চেষ্টা করলেও, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সক্ষম হন।
পরবর্তীতে রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ খান ঘটনাস্থলে এসে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসের পর স্বজন ও এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে এলাকা ত্যাগ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিহত হালিম খানের কন্যা হিমু আক্তার, পুত্র হাছিব খান, বোন রাশিদা বেগম, জুলেখা বেগম, পারভীন বেগম, বোনজামাই আলী রাজ, ভাবী রিনা আক্তার, হাজি জাফর শেখ, সজী বেগমসহ অনেকে।
হত্যা, মামলা ও জনসচেতনতা তৈরি হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।