সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ সরকারের রেল আইনের বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে বিনা নোটিশে ৫৫ বছর ধরে বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জলাশয় প্রতারণার মাধ্যমে রেল কর্মকর্তার পিতার নামে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেল সংস্থাপন কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে আকবরের বিরুদ্ধে। ঈশ্বরদী টু সিরাজগঞ্জ রেল লাইনের পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার রেল স্টেশনের পাশ্ববর্তী রেলসেতু সংলগ্ন সি এস-২৫ (টিপি নং-১৫৪/৫ থেকে ১৫৪/৬) দাগে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ জলাশয় মৎস্য আহরণের জন্য ১৯৭০ সাল থেকে ৫৫ বছর ধরে রেল আইনের বিধি অনুযায়ী খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছে পাশ্ববর্তী জমির মালিক মির্জা মেনহাজ উদ্দিন ও তার পরবর্তী বংশধর মির্জা কে. ই তুহিন গং। চলতি বছরে খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে তুহিন দেখতে পান তাদের ভোগ-দখলী জলাশয়টি কোন রকম নোটিশ ব্যতীত জনৈক আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিধি বর্হিভুতভাবে নতুন করে এই বন্দোবস্ত দেওয়ায় ভোগ দখলকারী মির্জা কে.ই তুহিন ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক বরাবর সংস্থাপন কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে আকবর (পশ্চিম-রাজশাহী) অঞ্চল এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তুহিন বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে খাজনা পরিশোধ পূর্বক ৫৫ বছর ধরে আমার পিতামোহ ও তার মৃত্যুর পর আমার পিতা আব্দুল লায়েক মির্জা তার অবর্তমানে আমি উপরোল্লেখিত জলাশয়টি ভোগ দখল করে আসছি। গত ২৮ জুলাই- ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীতে কর্মরত সুচতুর অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর সংস্থাপন কর্মকর্তা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে স্বজনপ্রীতি করে তার পিতা আলী আকবর (বাসা ১০/৫, মোল্লাপাড়া রোড, খালিশপুর, খুলনার নামে অবৈধভাবে খাস আদায় করেছেন। এটা রেলওয়ে আইনের নিয়ম ও বিধিবর্হিভুত। কতৃপক্ষের নিকট উক্ত বিষয় তদন্তপূর্বক সত্যতা যাচাই ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগে জোড় দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মির্জা কে. ই তুহিন ও অপর সমবায় সদস্যরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহী রেওয়ের সংস্থাপন কর্মকর্তা এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর এর মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা- পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।