মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঘটনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ: গত ২৭.০৬.২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৫.০০ ঘটিকায় খেলতে গিয়ে ভিকটিম লাবিব পত্তনদার (৮), পিতা: হারুন পত্তনদার, সাং: বড় বাহ্রা, নবাবগঞ্জ, ঢাকা নিখোজ হয়। পরে এলাকাবাসীসহ খোজাখুজির এক পর্যায়ে ২৮.০৬.২৫ ইং রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে জনৈক সেন্টু মিয়ার ডোবা পুকুরে ভিকটিমের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা চম্পা বেগম নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ২৯ (০৬) ২৫ ।
তদন্ত মামলা রুজুর সাথে সাথেই ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মো: আনিসুজ্জামান, পিপিএম মহোদয় দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু লাবিব হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল খুনীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার, দোহার সার্কেল জনাব মো: আশরাফুল আলম, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ নবাবগঞ্জ থানার নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্তে নামে এবং এজাহারনামীয় আসামি মো: বাবুল (৪০) পিতা: কফিল পত্তনদার, বাহ্রা, নবাবগঞ্জকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গত ২৯.০৭.২৫ ইং তারিখে নবাবগঞ্জ থানার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো: সায়েম মোল্লা (২২), পিতা: মৃত জসিম উদ্দিন, বর্তমান সাং বাহ্রা, নবাবগঞ্জ, স্থায়ী সাং: কলাতিয়া, কেরানীগঞ্জকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামি সায়েম মোল্লা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতার কারণে শিশু সায়েমকে গলা টিপে হত্যা করে সেন্টু মিয়ার ডোবা পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। পরবর্তীতে অদ্য ৩০.০৭.২৫ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি সায়েম মোল্লা দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে ।