সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পাবনা, নাটোর,সিরাজগঞ্জের ৯ টি উপজেলা নিয়ে বৃহৎ একটি বিল,যার নাম চলনবিল।যেটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়বিল বলে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।প্রতি বছরই ভরা বর্ষায় নৌকা যোগে চলনবিলে ঘুরতে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমে। যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। দেশীয় মাছের অভয়ারাণ্য বলেও পরিচিত এই চলনবিল।ছুটির দিনে কার না সাধ জাগে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের ডালি চলনবিলের মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে।বর্ষা মৌসুমে চলনবিল ভ্রমণের কয়েকটি স্পটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্পট হলো- হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯/১০ নং ব্রীজ, কুন্দইল ব্রীজ,বিলসা (বালসা) বাজার কফি হাউস,দেওয়ান ঘাসি বাবার মাজার নামে খ্যাত ঐতিহাসিক তিষিখালী মাজার,সিংড়া পয়েন্ট (নৌকা ঘাট)সহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।”প্রিয় সলঙ্গার গল্প”নামে সংগঠনের আয়োজনে সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে শুক্রবার (২২ আগস্ট)বাদ জুমা শুরু হয় চলনবিল ভ্রমণ।”প্রিয় সলঙ্গার গল্প”র চীফ এডমিন শাহ আলমের উদ্যোগে ভ্রমণের গ্রুপ লীডার ছিলেন,সলঙ্গার জুম ইলেক্ট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী ও সংগঠনের সভাপতি কে.এম আমিনুল ইসলাম হেলাল। সলঙ্গা থেকে দলবদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেল যোগে রওনা দিয়ে তাড়াশ ওয়াপদা বাধ হয়ে পশ্চিমে দিঘি সগুনা বাজার নৌকা ঘাটে যাই। তারপর পুর্ব নির্ধারিত ভাগা করা নৌকায় উঠে সবাই সবাই ভ্রমণ যাক্রা করি। কিছুদুর যেতেই দক্ষিনে নজরে পড়ে চলনবিলের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা তাড়াশ- নাদোসৈয়দপুর সাইটখাল ব্রীজ।চারদিকেই শুধু পানি আর পানি।চলনবিলের বিশাল জলরাশির মাঝে দেখা মেলে শুধুই ভ্রমণপিপাসুদের নৌকা। কেউ কেউ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থেকে গ্রুপ হয়ে এসেছেন। আবার কেউবা স্বপরিবারে ঘুরতে এসেছেন।যান্ত্রিক এ যুগে পড়ন্ত বিকেলে গ্রাম বা শহর ছেড়ে একটু খোলামেলা আকাশে নির্মল বাতাস আর ধু ধু করা জলরাশির উপর বেড়াতে কার না মন চায়?বাতাসের তালে তালে ঢেউ খেলা নয়নাভিরাম জলরাশির উপর প্রকৃতির দেয়া সবুজ গালিচা বিছানো লতাগুল্ম সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর।ভ্রমণ পিপাসুদের প্রতিটি নৌকায় খাদ্যখানা, বক্সের ডিজে গান ও নাচে যেন ভ্রমণকারীদের মনের ক্লান্তি দুর প্রশান্তি জেগে উঠে।আমাদেরও মধ্যাহ্ন ভোজ হয় নৌকার মধ্যেই অতি আনন্দে।
হাসি,আনন্দ,গল্প ও আলাপচারিতায় তিষিখালী মাজার, বিলসা,কুন্দইল ব্রীজ বেড়ানো হয়। সময়ের অভাবে সিংড়া স্পট (নৌকা ঘাট) বেড়ানো সম্ভব হয়নি।সময়ের ব্যবধানে সব কিছুই বিলীন হয়ে যাবে।কিন্ত প্রকৃতির দেয়া চলনবিলের ইতিহাস আর চোখ জুড়ানো অপরুপ দৃশ্য মনের মধ্যে জমা থাকবে।