আতিকুর রহমান,, স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারি চাল পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলার নশরতপুর খাড়িয়াকান্দি রাস্তার মোড় গোফ্ফারের দোকান ও গোডাউনে এই ভিডব্লিউবির ৮ টন চাল পাচারের দৃশ্য দেখা যায়। তবে জিজ্ঞেসাবাদে ব্যবসায়ীরা দাবী করেন চালগুলো মিলারদের থেকে নিয়েছেন। এদিকে প্রশাসন বলছেন সরকারি মোড়ক বস্তার গায়ে না থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে তাদের বাঁধা রয়েছে। এমন ভিন্ন মন্তব্যে গ্যাঁড়াকলে সচেতন এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের নামে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। জানা যায়, উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে দরিদ্রদের মাঝে ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণের পর সুবিধাভোগীদের থেকে প্রথমে আনোয়ার হোসেন নামের এক ফড়িয়া ব্যবসায়ী চালগুলো ক্রয় করেন। এরপর সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের উদ্দেশ্যে অন্য বস্তায় চালগুলো রাখেন। পরে ক্রয়কৃত চাল আনোয়ারের থেকে নশরতপুরের আব্দুল গোফ্ফার নামের আরেক ব্যবসায়ী কিনে নিয়ে ওই গ্রামের একটি জায়গায় এই ৮টন ভিডব্লিউবিএর চালগুলো লুকিয়ে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে জানাজানি হলে পরে বুধবার সকালে চাঁপাপুর থেকে নশরতপুর আব্দুল গোফ্ফার তার নিজ দোকান ও গোডাউনে নিয়ে আসেন। এসময় স্থানীয় লোকজন ও গণমাধ্যম কর্মীরা চালগুলোর বিষয়ে সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন চালের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা এবং সে চালগুলো আনোয়ারের থেকে ক্রয় করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন গোফ্ফার। ঘটনাস্থলে আস্তে আস্তে লোকজন জমা হতে শুরু করলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হলে তিনি চালের বস্তায় সরকারি মোড়ক না থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরপর যাচাইয়ের জন্য ওই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নশরতপুর চেয়ারম্যানকে দেখতে বলেন তিনি। যার ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে জানান সচেতন এলাকাবাসী। ফলে প্রশাসনের এমন নিরবতা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ভিডব্লিউবি এর চাল বিতরণের সময় সুবিধাভোগীদের থেকে চালগুলো ক্রয় করে নেন। এরপর সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ একটি বস্তাতে চাল ভর্তি করেন। পরে চালগুলো একটি গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখে। রাতে জানাজানি হলে সকালে চালগুলো সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল গোফ্ফার জানান আমি আনোয়ারের কাছে থেকে চালগুলো ক্রয় করে আমার দোকান ও গোডাউনে এনেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।