আতিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাজার এলাকা থেকে জব্দ করা এক হাজার ৭০ বস্তা চোরাই রাসায়নিক সারের নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। নিলাম থেকে প্রাপ্ত ১১ ল¶াধিক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের মুরইল বাজার এলাকার মেসার্স রাফি ট্রেডার্স নামক কীটনাশক ও খুচরা সার ব্যবসায়ী হাজী আশরাফ আলী মৃধা দীর্ঘ দিন ধরে গোপন গুদামে বিপুল পরিমাণ চোরাই সার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করে আসছিলেন। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত আনজুম অনন্যা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় পাচার করার জন্য ট্রাক বোঝাইরত অবস্থায় দুই শত ৪৫ বস্তা এমওপি এবং গোপন গুদাম থেকে আট শত ২৫ বস্তা তিন প্রকারের মোট এক হাজার ৭০ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করেন। এসময় উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ রবিউল ইসলাম প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। এদিন সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলা চত্বরে, জব্দ কৃত দুই শত ৪৫ বস্তা এমওপি সার প্রকাশ্য নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এরপর গতকাল (২৭ আগস্ট) বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মুরইল বাজারে সিলগালা করা গুদামের সামনে অবশিষ্ট পাঁচ শত ৫৫ বস্তা এমওপি, এক শত ৭০ বস্তা ডিএপি এবং এক শত বস্তা টিএসপি সার প্রকাশ্য নিলাম ডাকের আয়োজন করে উপজেলা প্রসাশন। কৃষি বিভাগ ও যৌথ বাহিনীর সহায়তায় নিলাম পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমদা সুলতানা। নিলামে বিসিআইসি ও বিএডিসির স্থানীয় পাঁচ ডিলার অংশ গ্রহন করে। দুই দিনের নিলামে এক হাজার ৭০ বস্তা তিন প্রকারের রাসায়নিক সার কিনে নেয় মেসার্স মঙ্গল চন্দ্র সাহা, মেসার্স মির্জামল বিশ্বেশ্বর লাল এবং মাহবুব আলম ট্রেডার্স। নিলাম থেকে প্রাপ্ত মোট ১১ লাখ আট হাজার এক শত ৬০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা।