মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ(২৯), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং-মেহেরপাড়া, থানা-মাধবদী, জেলা- নরসিংদী এক সময় ক্যান্টনমেন্টে একজন মেজর এর বাসায় কাজের ছেলে হিসেবে কাজ করতো। ক্যান্টমেন্টে থাকাকালে সে সেনাবাহিনীর কথাবার্তা, চাল-চলন অনুসরণ ও রপ্ত করে। পরবর্তীতে ফয়সাল আহম্মেদ মেজরের বাসার কাজ ছেড়ে চলে আসে। আসার পর উক্ত ফয়সাল আহম্মেদ নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে বিভিন্ন প্রবাসীদের স্ত্রীদেরকে টার্গেট করে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এবং ভিডিও কলে তাদের সাথে কথা বলে সে নিজেকে কখনো সেনাবাহিনীর মেজর, কখনো ওয়ারেন্ট অফিসার, কখনো সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে একাধিক প্রবাসীর স্ত্রীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে তাদের নিকট হতে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বাগমারা সাকিনস্থ মৃত ইসমাইল হোসেন এর মেয়ে সুমি আক্তার এর স্বামী প্রবাসে থাকায়, তাকে টার্গেট করে তার বাসার পাশে বাসা ভাড়া করে সুমি আক্তার এর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে। সে নিজেকে অবিবাহিত ও সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে সুমি আক্তার এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে ০৯/০৮/২০২৫ খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকার সময় সুমি আক্তারকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা হতে অন্যত্র নিয়ে যায়। তারপর সুমি আক্তার এর নিকট থাকা নগদ ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে সুমি আক্তার বুঝতে পারে যে, উক্ত ফয়সাল আহম্মেদ কোন সেনাবাহিনীর অফিসার নয়, সে একজন প্রতারক। সুমি আক্তার প্রথমে তার ভাইকে ঘটনাটি জানালে তার ভাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং-৩০, তারিখ-২২/০৮/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/২০২০) এর ৯(১) তৎসহ ১৭০/১৭১/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুম বিল্লাহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও কৌশলে এজাহারনামীয় প্রতারক ফয়সাল আহম্মেদকে ২২/০৮/২৫ খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০৮.৪৫ ঘটিকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম সুমিকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আহম্মেদ এর দখল হতে সেনাবাহিনীর ভুয়া একটি ওয়ারেন্ট অফিসার পদবীর আইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড়ের একটি মানিব্যাগ ও একটি কাঁধের ব্যাগ এবং নগদ-২৪,০০০/- (চব্বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে অদ্য ২৩/০৮/২৫ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।