মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ
বাদী মোঃ জুয়েল রানা(২৩) গত ইং ৩০/০৫/২০২৫খ্রিঃ কোতয়ালী মডেল থানাধীন মুজিব সড়ক সেইলর শোরুমের সামনে পাকা রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল রেখে শোরুমের ভিতরে প্রবেশ করে এবং প্রায় ২০ মিনিট পরে এসে দেখে তার মোটরসাইকেলটি নেই, এমতাবস্থায় আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে বাইকটি না পেয়ে সে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করেন।
বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব রওনক জাহান মহোদয় জড়িতদের গ্রেফতারে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি), যশোরকে নির্দেশনা প্রদান করলে ডিবির অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ কামরুজ্জামান, এএসআই(নিঃ)/রঞ্জন কুমার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে আজ ১৫ জুন মধ্য রাত অভিযান পরিচালনা করে যশোর নিউমার্কেট এলাকা হতে একটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ উক্ত চুরির সাথে জড়িত মোহাম্মদ আলী(৪০) ও মোঃ খলিল গাজী(৩৬) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্ৰেফতার করে।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেখানো মতে আজ ভোরে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর এলাকা হতে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি মাস্টার চাবি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
আসামিদের আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামি মোহাম্মদ আলী সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানাধীন বংশীপুর গ্ৰামের মজিদ গাজীর ছেলে এবং আসামি খলিল গাজী একই থানার চন্ডিপুর গ্ৰামের জব্বার গাজীর ছেলে।
তারা স্বীকার করে দুজনে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুকৌশলে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা হতে বাইক চুরি করে আসছিল।
আসামির পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় এর আগেও আসামি মোহাম্মদ আলীর নামে বিভিন্ন থানায় ২৪ টি মামলা এবং আসামি খলিল গাজীর নামে ১৪ টি মামলা রয়েছে।
এসংক্রান্তে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উদ্ধারঃ
১। দুটি মোটরসাইকেল (হিরো হোন্ডা স্প্লেন্ডার)।
২। একটি মাস্টার চাবি।