জিল্লুর রহমান খুলনা ঃ
খুলনা কয়রার ৪ মাস ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই। এসিল্যান্ড পদটি শূন্য হওয়ায় ভূমি অফিসের সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে ভূমি সংক্রান্ত কাজ যেমন, নামজারি, খাজনা আদায়, জমির পরিমাণ নির্ধারণ এবং খতিয়ান সংশোধন, জমি কেনা-বেচা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। ভূমি অফিসের কর্মীরা যেমন, কাজের চাপের মধ্যে পড়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষও সঠিক সময়ে তাদের ভূমি সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে পারছেন না। সেবাপ্রত্যাশী ও স্থানীয়রা জানান, অনেকদিন ধরে জমির খতিয়ান সংশোধন করাসহ নামজারি করার জন্য ভূমি অফিসে যাচ্ছি, কিন্তু এসিল্যান্ড না থাকার কারণে এই কাজ শেষ করতে পারছি না। গত বছরের ১১ নভেম্বর তৎকালীন এসিল্যান্ড বিএম তারিক উজ জামান ইউএনও হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় বদলি হয়ে চলে যান। এর পর থেকে এসিল্যান্ড পদে কয়রা উপজেলায় আর কাওকে পদায়ন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় তার পক্ষে নিয়মিত ভূমি অফিস পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, আমরা নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে তা পেতে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে । আমাদের অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে একাধিকবার ভূমি অফিসে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। তবে অনলাইন সিস্টেমে নামজারি ২৮দিনে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও এসিল্যান্ড না থাকায় দীর্ঘ সময় লাগছে। এ ব্যপারে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার বলেন, এসিল্যান্ড কম থাকায় খুলনার কয়েকটা উপজেলায় এসিল্যান্ড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নতুন এসিল্যান্ড প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে শিগগিরই এটা সমাধান হবে আশা করি।