ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিধিনিঃ হাসিনুজ্জামান মিন্টুঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় র্যাবের চৌকস অভিযানে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) ভোরে দিনাজপুর ও ঢাকার দুটি ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৩ এবং র্যাব-৪ এর যৌথ দল ৩ জন কে আটক করে। র্যাব-১৩–এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– মো. শফিকুল ইসলাম (৪৯), মোছা. ফরিদা বেগম (৪৫) এবং মো. ওমের আলী (৪৯)। এই ৩ জনই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসু ও সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। র্যাব সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, নিহত খাইরুন নাহারের (২৬) প্রায় আট বছর আগে মো. তাজমুল হকের (৩৩) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান না থাকায় তাজমুলের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে দ্বিতীয় বিবাহের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই কলহ লেগে থাকত। এই বিরোধের জের ধরেই গত ২১ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে খাইরুন নাহারের নিথর দেহ তার স্বামীর বাড়ির প্রায় দুইশ গজ দক্ষিণে একটি বাঁশঝাড়ে, তাজমুলের পিতার কবরের পাশে পাওয়া যায়। তার হাত ও পা বাঁধা ছিল। এই ঘটনায় নিহত খাইরুন নাহারের পিতা বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকালে র্যাব নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে অভিযুক্তরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৪ মে ভোররাতে র্যাব-১৩, সিপিসি-১, দিনাজপুরের একটি সুদক্ষ দল দিনাজপুর সদর উপজেলার মোহনপুর রাবার ড্যাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে আটক করে।
এর পরপরই, ভোর ৫ টার দিকে র্যাব-৪ এর সহায়তায় ঢাকার শাহআলী থানার উত্তর বিশিল এলাকায় আরেকটি সফল অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ফরিদা বেগম ও তার স্বামী ওমের আলীকে গ্রেপ্তার করে । র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।