মনা যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের ঝিকরগাছায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের নজরে আসলে প্রশাসন কর্তৃক ফেমাস মেডিকেল (ক্লিনিকে) তালাবদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাভিদ সারওয়ারের নেতৃত্বে পৌরসদরের রাজাপটিতে উক্ত ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ক্লিনিকের মেইন গেট বন্ধ থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন করে তালা মারা হয়েছে এবং বর্তমানে ক্লিনিকটি ভবন মালিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ, সেনেটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল মতিন, থানার এস আই কামাল হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের শিওরদাহ গ্রামের ইয়ানুর রহমানের মেয়ে সোহানা খাতুন (১৯) এর সিজারিয়ান অপারেশন করেন সালেহা ক্লিনিকের বিতর্কিত, স্ব-ঘোষিত, ভুয়া, হাতুড়ে ডাক্তার শরিফ উদ্দীন। অপারেশনে ২টি কন্যা শিশু জন্ম নেয়। অপারেশনের এক পর্যায়ে সোহানা খাতুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়।
উক্ত ক্লিনিকে প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাভিদ সারওয়ার জানিয়েছেন। তবে প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোথাও অভিযোগ করেননি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার মুল হোতা আন্ডার মেট্রিক ডাক্তার শরীফ উদ্দীন এর সালেহা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। শরীফ এর ক্লিনিক সিলগালা, লাইসেন্স বাতিল ও তাকে গ্রেফতার এর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।