1. fakiraual842@gmail.com : নব দিগন্ত ২৪ : নব দিগন্ত ২৪
  2. rmriyad150@gmail.com : fokir :
  3. nobodigonto24.khag.dist.repse@gmail.com : Md. Mobinul Islam : Md. Mobinul Islam
আজ রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত। - নব দিগন্ত ২৪
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রাম সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি সহ ১ জন চাঁদাবাজ আটক সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে তিন লক্ষাধিক টাকার মাদক ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আটক-১ রাজধানীর পল্লবীতে আলুপট্টি এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ডিমলায় শহীদ উসমান হাদী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, দোয়া অনুষ্ঠিত হাদি হত্যার প্রতিবাদ মিছিল শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাফিউল: ভোরে মিলল আরেক মরদেহ বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে ট্যাংকে লুকিয়েছিল মরদেহ চট্টগ্রাম সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ১জন আসামী গ্রেফতার চট্টগ্রাম সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১জন আসামী আটক সলঙ্গায় জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসকদের বিজয় দিবস পালন

আজ রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত।

জি এম স্বপ্না
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

জি,এম স্বপ্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
আজ সোমবার ঐতিহাসিক রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস।১৯২২ সালের

২৭ জানুয়ারি তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে

সলঙ্গার হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাড়ে চার হাজার সাধারণ

মানুষ শহীদ হন।ব্রিটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা

উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু

করেছিলেন। এমনি একটি আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন

পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জে) সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে সপ্তাহে

দু’দিন হাট বসত।১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশিদ

তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামেন বিলেতি

পণ্য কেনাবেচা বন্ধ করতে। আর এই স্বদেশি আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসেন

পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর এন দাস, জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা

প্রশাসক এস কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র পুলিশ।সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশি কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস

ঘেরাও পূর্বক গ্রেফতার করে মাওলানা আবদুর রশিদকে।সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে

বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।বিদ্রোহে ফেটে পড়ে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও

আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ

দেন।শুরু হয় বুলেট-বৃষ্টি। ৪০টি রাইফেলের মধ্যে মাত্র একটি থেকে কোনো গুলি

বের হয়নি।এ রাইফেলটি ছিল একজন ব্রাহ্মণ পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সরকারি

সংখ্যা সাড়ে চার হাজার দেখানো হলেও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মতে এর সংখ্যা ১০

হাজারের অধিক।মাওলানা আবদুর রশিদ সলঙ্গা বিদ্রোহের মাধ্যমে উপনিবেশিক শাসনের ভিত নড়িয়ে

দিয়েছিলেন।সলঙ্গার রক্তসিক্ত বিদ্রোহ শুধু বাংলার মাটিকে সিক্ত করেনি,সিক্ত

করেছে সমগ্র উপমহাদেশ।যে রক্তে ভেজা পিচ্ছিল পথে অহিংস, অসহযোগ আন্দোলনে যা

কিছু অর্জিত হয়েছে, তা সলঙ্গা বিদ্রোহেরই ফসল।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ পাঠাগার, বেগম নূরুন্নাহার

তর্কবাগীশ ডিগ্রি কলেজ,সলঙ্গা সমাজকল্যাণ সমিতি, তর্কবাগীশ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা,

তর্কবাগীশ উচ্চ বিদ্যালয়,মাওলানা তর্কবাগীশ গবেষণা কেন্দ্র ও সলঙ্গা ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ৩ দিন ব্যাপী

নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© নব দিগন্ত ২৪ Nobo Digonto 24 🖊️
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট