মোঃ নাজমুল শেখ, মাদারীপুর প্রতিনিধি।
মাদারীপুর শিবচরে ১৭ লক্ষ্য টাকায় লিবিয়া দিয়ে ইটালি নেওয়ার প্রভোলন দেখিয়ে, দালাল মাফিয়া আলমগির খা, নির্মম অত্যাচারের পর ৩ ভুক্তভোগির ৭১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন নিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়, তাদের মোট ১ কোটি ২২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা নেয়, দালাল মাফিয়া আলমগির খা।
মেহেদী হাসান (২২) লপতসরকার চর গ্রামের, দক্ষিন বয়রাতলা ইউনিয়নের, ছালাম মুন্সির ছেলে, মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে ১৭ লক্ষ্য টাকায় লিবিয়ার ভূমধ্য সাগর পারি দিয়ে ইটালি জাওয়ার প্রভোলন দেখিয়ে। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া নিয়ে, নির্মম অত্যাচার করে, ২৪ লক্ষ্য টাকা মুক্তিপন চায়। আমাদের ঘর- বাড়ি বন্দক রেখে ২৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়, আমি দালাল আলমগীর খার ফাঁসি চাই।
নাইম (২১) চরকামারকান্দি গ্রামের, নিলক্ষী ইউনিয়নের ইলিয়াচ খার ছেলে জানান, দালাল আলমগির খার মাধ্যমে ইটালি নেওয়ার কথা বলে ১৭ লক্ষ্য টাকা কনটাক্ট করে, লিবিয়া নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে, মোট ৪১ লক্ষ্য টাকা নিয়ে ২ মাস আটকে রেখে আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
নাইম আরও বলেন, আমি আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং দালাল – মাফিয়া আলমগির খার কঠিন বিচার চাই।
জাহিদ (২৫) দত্তপারা ইউনিয়নের গফফার মোল্লার ছেলে। তিনি জানান, আমার ফুফা জালাল মাদবর এর মাধ্যমে দালাল, আলমগির খার সাথে পরিচয় হয়। আমাদের ইটালি নেওয়ার কথা বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ১৭ লক্ষ্য টাকা কনটাক্ট করে লিবিয়া নিয়ে বিক্রি করে দেয় অন্য দালালের কাছে, আমাদের খাবার দিতো না, বাথরুমের পচা পানি দিতো। আমাকে মারধর করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ২ মাস নির্মম অত্যাচার চালিয়ে ২৪ লক্ষ্য টাকা মুক্তিপন নিয়ে আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। আমারা ৩ টি পরিবার এখন নির’স, আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং দালাল – মাফিয়া আলমগির খার কঠিন বিচার চাই আইনের কাছে।
শিবচর থানার, মানব পাচারকারী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, রেজাউল করিম জানান, মামলা কার্যকর হয়েছে শুধু আসামী ধরা বাকি রয়েছে, আসামীকে পেলেই আটক করা হবে।