আতিকুর রহমান,, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার পৌর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ ও অভিজাত এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সাত নং ওয়ার্ডে। প্রায় ২ শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন, উপজেলার এক মাত্র সরকারি কলেজ, রেলওয়ে হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে পৌর এলাকার এই সাত নং ওয়ার্ডে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে সান্তাহার পৌর এলাকার এই অভিজাত এলাকাটিই হয়ে পড়েছে সবচেয়ে অবহেলিত, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। সাত নং ওয়ার্ডের চা-বাগান সিভিল কলোনী এলাকায় গত ১৭ মে ২৫ ইং হতে অদ্যাবধি বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতায় রয়েছে প্রায় ১১ বাড়িসহ প্রায় শতাধিক পরিবার। জলাবদ্ধতার কারণে উক্ত এলাকার চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন এখন প্রায় এক হাঁটু পানির নিচে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ড্রেন পানির নিচে থাকার ফলে চা-বাগান সিভিল কলোনী এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এখন অকেজো। এছাড়াও একই ওয়ার্ডের ঘোড়াঘাট এলাকার একটি অপরিস্কার খোলা ডাস্টবিনের ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। প্লাস্টিকের ড্রামের ডাস্টবিন থাকলেও নিয়মিত পরিস্কারের অভাবে ড্রাম থেকে ময়লা আবর্জনা ছিটিয়ে পড়েছে চারদিকে এবং ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। এলাকাবাসীর দাবি এলাকার বেশির ভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বন্ধ অথবা ভালো ভাবে পরিস্কারের অভাবে পানি নিষ্কাশন ব্যহত হচ্ছে।
এই বিষয়ে চা-বাগান সিভিল কলোনীর বাসিন্দা (অবসরপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক মর্তুজা সেলিম জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমরা এই জলাবদ্ধতায় ভুগছি গত বছর নভেম্বর মাসে আমরা এলাকাবাসী, সান্তাহার পৌরসভার প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। সাত নং ওয়ার্ডে রেলওয়ের জায়গায় একটি বড় পুকুর রয়েছে এই পুকুরের পানি প্রবাহ যখন ঠিক ছিলো তখন কোন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হত না, কিন্তু বিগত কয়েক বছর হলো এই পুকুরে একটি অংশ প্রভাবশালীদের দ্বারা অবৈধ ভাবে দখল হয়ে যাওয়ার ফলে পুকুরের পানি প্রবাহ বন্ধ থাকার ফলে হালকা বর্ষনেও দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বর্তমানে অনেকেই ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শুধু মাত্র এই জলাবদ্ধতার জন্য। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষনে বর্তমানে অবস্থা আরও খারাপ। আমরা এলাকাবাসী পুনরায় পৌর সভাতে অভিযোগ দায়ের করলেও নেই এর কোন প্রতিকার ব্যবস্থা বরং পৌর প্রকৌশলীর আচরণ অত্যন্ত অশোভনীয়। সাত নং ওয়ার্ডের ঘোড়াঘাট মহল্লার বাসিন্দা রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় একটি অপরিস্কার ডাস্টবিন রয়েছে যা অনেক বার পৌর কতৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে বললেও কোন কাজ হয় না। আমরা নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করলেও পাচ্ছি না নুন্যতম সেবা। বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে আমরাই নিজেরাই পরিস্কার করি। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবু রায়হান মন্ডল বলেন এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। পৌর সভার লোকজন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি। তবে পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। আর জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।