মনা যশোরে প্রতিনিধিঃ
ভারতে যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ বগুড়া জেলা সদরের আওয়ামীগ কর্মী রিপন সরকার (৩২) কে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রিপন সরকার বগুড়া জেলা সদরের ঠেংগামারী গ্রামের সাজু সরকারের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর- অ-০৮০১৮৬৪৪।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনের ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন রিপন সরকার। তার পাসপোর্টে স্টপ লিস্ট থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় বিস্ফোরক ও নারী নির্যাতনের পৃথক দুটি মামলা থাকায় তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, ইমিগ্রেশনে খবর ছিল বগুড়া জেলা সদরের আওয়ামীগ কর্মী রিপন সরকার ভারতে যেতে পারেন। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সব অফিসারকে সতর্ক করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করে বহির্গমন সিল মারার জন্য ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন রিপন। অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামীগ কর্মীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু বগুড়া জেলা সদর থানায় তার নামে বিস্ফোরক ও নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে, সেহেতু তাকে বগুড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে অন্তত ১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১০ জুন ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম সাহাবউদ্দিন আজমকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ৫ জুন একইভাবে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের অধিকাংশই ৫ আগস্টের পর দায়ের হওয়া হত্যা ও অন্যান্য ফৌজদারি মামলার আসামি বলে জানা গেছে।