মনা যশোর প্রতিনিধিঃ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্বেও শনিবার (২১ জুন) বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কাজকর্ম চলমান থাকবে। নতুন অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকায় কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়করসহ রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বন্দর থেকে পণ্য খালাস দেওয়া হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বেনাপোল কাস্টমস হাউস শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সকল কাজকর্ম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে বলে এই কর্মকর্তা শুক্রবার সন্ধায় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৮ জুন উম্মে আয়মান কাশমী (দ্বিতীয় সচিব বোর্ড প্রশাসন-১) স্বাক্ষরিত একপত্রে জানানো হয়েছে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকায় আগামী ২১ জুন ও ২৮ জুন শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এর অধীনস্থ কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়করসহ রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল দপ্তর খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, শনিবার বন্দর খোলা থাকবে। কেউ বন্দর থেকে আমদানিকৃত মালামাল খালাস নিতে চাইলে খালাস দেওয়া হবে। আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য আনলোডও করা হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু জানান, শনিবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজ খোলা থাকবে এ সংক্রান্ত কোন পত্র আমরা পায়নি। কাস্টমস থেকে বিষয়টি জানানো হলে আমাদের সদস্যদের জানিয়ে দিতে পারতাম। অনেক সদস্য বিষয়টি জানে না। তার পরও কেউ কাজ করতে চাইলে কাজ করবে।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, সংস্থাটি ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি বিভাগ করার যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল তা বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দপ্তর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস (জুলাই-এপ্রিল) শেষে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের তুলনায় এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
গত ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। একইদিনে নতুন অর্থবছরের জন্য কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের আইনে পরিবর্তন এনে অর্থ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই আইনে কোনো অসঙ্গতি থাকলে বা অংশীজনদের কোনো দাবি থাকলে তা আমলে নিয়ে ২২ জুন নতুন অধ্যাদেশ জারির ঘোষণা দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।