সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
ভিকটিম শিশু সোয়া মনি ওরফে সূচনা (০৮), পিতা-মোঃ সুমন হোসেন (গত প্রায় তিন বছর যাবৎ কুয়েত প্রবাসী), সাং-মীরের দেউলমুড়া, ডাকঘর-হাট পাঙ্গাসী, থানা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জ। ভিকটিম সূচনা মীরের দেউলমুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২০/০৮/২০২৫ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশপাশসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পায় না। একই তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় বসত বাড়ীর পূর্ব পাশে জনৈক মোঃ সানোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত শাহজাহান আলীর বাড়ির দিকে স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে ভিকটিম সূচনার পরিবারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান যে ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনার লাশ সানোয়ারের বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটের মধ্যে পরে আছে। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনাকে মাথায় ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত যখন প্রাপ্ত করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য টয়লেটের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। এসংক্রান্তে ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনা’র দাদা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থাকায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ ফারুক হোসেন মহোদয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব মোঃ নাজরান রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিরাজগঞ্জ সার্কেল (অতিরিক্ত দায়িত্বে রায়গঞ্জ সার্কেল) এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন, পিপিএম এর তত্বাবধানে ডিবির এসআই(নিঃ)/মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম ও এসআই(নিঃ)/ অনুপ কুমার সরকার, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জসহ ডিবি অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করেন। চৌকস এই টিম তথ্য প্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারণে হত্যাকান্ড সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে সনাক্তপূর্বক আসামী মোঃ মনিরুল ইসলাম জিহাদ(২১) ও মোছাঃ আতিয়া পারভীন (২৭)’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের মধ্যে আসামী মোঃ মনিরুল ইসলাম জিহাদ ঘটনার বিষয়ে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।